দেহরাদূন: সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে সাফল্য লাভের ঘটনা নতুন নয়। সাধারণ পরিবার থেকে যাঁরা উঠে এসেছেন, তাঁরা প্রমাণ করেছেন যে, তাঁদের সাফল্যের পথে আর্থিক সঙ্গতি কোনও বাধা তৈরি করতে পারেনি। এই তালিকায় যোগ হল উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনের এক অটো-চালকের কন্যা। রাজ্যের জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় শুধু সফলই হননি, একেবারে প্রথম স্থান দখল করেছেন। পুনম টোডি নামে ওই তরুণীর চোখধাঁধানো কৃতিত্বে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন তাঁর পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা।
২০১৬-র উত্তরাখণ্ড জুডিসিয়াল সার্ভিস সিভিল জজ (জুনিয়র ডিভিশন) পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পরই পুনমের বাড়িতে বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের ভিড়। গর্বিত বাবা অশোক কুমার টোডি বলেছেন, তাঁর সন্তানদের প্রয়োজনীয় স্বাচ্ছন্দ্য দিতে পারেননি তিনি। তবে তারা যাতে ভালো পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য সামর্থ্যমতো অর্থ খরচ করেছেন তিনি। সেই চেষ্টা যে বিফল হয়নি, পুনমের সাফল্যই তা প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য অশোকের।
বাবা মেয়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, পুনম খুবই পরিশ্রমী। আর এই সাফল্যের যোগ্য ও।
তবে সাফল্যের পথটা একেবারেই সহজ ছিল না পুনমের। এই নিয়ে তৃতীয়বার পরীক্ষায় বসেছিলেন তিনি। এজন্য দিল্লিতে কোচিংও নিয়েছিলেন। গত চার বছর এই পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করেছেন তিনি।
বিচারকের পেশা কেন বেছে নিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে পুনম বলেছেন, সমাজে বিচারকদের শ্রদ্ধার চোখে দেখা হয়। তাই ওই পদটি ছিল তাঁর কাঙ্খিত।
পরীক্ষায় এই সাফল্যের পর কমার্সে স্নাতকোত্তর পুনম বাবা-মায়েদের কাছে কন্যা সন্তানদের পড়াশোনা সহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। ছেলেদের মতোই মেয়েদের একই সুযোগসুবিধা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন অশোক। উল্লেখ্য, অশোকের দৈনিক আয় গড়ে ৩০০ টাকা। পুনমের আরও এক বোন এবং দুই ভাই রয়েছে।