নয়াদিল্লি: বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিতর্কে ফের আসরে শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর। আর্ট অব লিভিং সংস্থার প্রধানের সঙ্গে আজ কথা হল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ড সদস্য মৌলানা সঈদ সলমন হুসেইনি নাদভির। বেঙ্গালুরুতে প্রায় তিন ঘন্টা রবিশঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হয় ৬ সদস্যের মুসলিম প্রতিনিধিদলের। শোনা যাচ্ছে, সেখানে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির তৈরির জন্য ঐকমত্য স্থাপন, সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। নাদভি নাকি ইসলামেই মসজিদ সরিয়ে ফেলার বিধি রয়েছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন।
নাদভি ছাড়াও প্রতিনিধিদলে ছিলেন উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড চেয়ারপার্সন জুফার ফারুকি, প্রাক্তন আমলা আনিস আনসারি, আইনজীবী ইমরান আহমেদ, তিলিওয়ালি মসজিদের মৌলানা ওয়াসিফ হাসান রিজভি ও অবজেকটিভ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর ডিরেক্টর আতহার হুসেন। মুসলিম সমাজের নানা অংশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রবিশঙ্করের পরের বৈঠকটি হবে মার্চে।

বৈঠকের পর আতহার হুসেন বলেন, বিতর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। কী ভাবে হিন্দু, মুসলমান সহমত হতে পারে, কথা হয় সে ব্যাপারে। মার্চে আরেক দফা বৈঠক হবে অযোধ্যায়, যেখানে ধর্মগুরুরা, মৌলবীরা থাকবেন। ফারুকি বলেন, ওয়াকফ বোর্ড সব ধরনের বোঝাপড়ায় রাজি, তবে তাতে উভয় শিবিরের প্রতিনিধিদের থাকা চাই।

অযোধ্যা বিতর্কে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০১০ সালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া একগুচ্ছ পিটিশনের শুনানি চলছে, সে সময়ই হল এই বৈঠক। গতকালই প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চ ১৩টি পিটিশনের শুনানি শুরু করে। বেঞ্চ এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাওয়া এই বিতর্কের সব পক্ষকে বলে, তারা সেখানে যেসব নথি পেশ করেছে, দু সপ্তাহের মধ্যে তার সব ইংরেজি অনুবাদ করে পেশ করতে হবে। পরের শুনানি হবে ১৪ মার্চ। গতকাল বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা গোটা বিষয়টিকে জমি বিবাদ হিসাবে গণ্য করবে।

এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের ভিত্তিতে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রামলালা ও নির্মোহী আখাড়ার মধ্যে তিন ভাগে বন্টন করে দিতে বলে। তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক পিটিশন পেশ হয়।