নয়াদিল্লি: ছত্তিশগড়ের চান্দখুরি থেকে ৮০০ কিমি  দূরে অযোধ্যার উদ্দেশে হাঁটা লাগিয়েছেন মহম্মদ ফৈয়াজ খান। চান্দখুরি হল রামের মা কৌশল্যার জন্মস্থান। সেখান থেকে যাত্রার সূচনা করে ৫ আগস্ট  অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ভূমি পূজা অনুষ্ঠানে হাজির থাকার সংকল্প নিয়ে আপাতত তিনি পৌঁছেছেন মধ্যপ্রদেশের আনুপ্পুরে।  সেখানে  তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, নামে, ধর্মে আমি মুসলিম বটে, কিন্তু ভগবান রামের ভক্ত। আমাদের পূর্বসূরীরা কিন্তু আদতে হিন্দু ছিলেন। তাঁদের নাম হতে পারে রামলাল বা শ্যামলাল। আমরা  মসজিদ বা গির্জা, যেখানেই যা-ই, আসলে আমরা সবাই  হিন্দু।


তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল পূর্বপুরুষ ভগবান রাম। আল্লামা ইকবাল (পাকিস্তানের জাতীয় কবি) বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে বলেছিলেন, যিনিই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী, তিনিই রামকে ভারতের দেবতা মানবেন।  তাঁর প্রতি এই শ্রদ্ধার ভাব নিয়ে আমি কৌশল্যার জন্মভূমি চাঁদখুরি থেকে মাটি নিয়ে অযোধ্যায় যাচ্ছি সেখানে ভূমি পূজা অনুষ্ঠানে উত্সর্গ করব বলে।


কিন্তু কিছু লোক যে তাঁর এমন উদ্যোগের সমালোচনা করছেন? ফৈয়াজের দাবি, পাকিস্তানে কিছু  লোকজন হিন্দু, মুসলিম নাম দিয়ে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে পরস্পরকে গালিগালাজ করে দেখাতে চাইছে, ভারতে সব ধর্মের লোকজন  নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে।


তিনি ১৫ হাজার কিমি রাস্তা হেঁটে বিভিন্ন মঠ-মন্দির ঘুরেছেন, এমনকী  সেখানে থেকেছেন বলেও জানান ফৈয়াজ। বলেন, এই প্রথম নয় যে আমি হেঁটে হেঁটে মন্দির যাচ্ছি। কেউ আমার বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেনি। আর এটা তো মাত্র ৮০০ কিমির পথ। পাকিস্তান রামমন্দির নির্মাণের সময় ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করছে বলেও  অভিযোগ করেন ফৈয়াজ।