নয়াদিল্লি: আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব বর্ষীয়াণ গুলাম নবি আজাদের হাতে তুলে দিল কংগ্রেস। একইসঙ্গে পঞ্জাব ও হরিয়ানার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হল দলের আরেক প্রবীণ নেতা কমল নাথকে দেওয়া হয়।
দলের ব্যাটন তরুণ প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে জল্পনার মধ্যেই, দুই বর্ষীয়াণ হেভিওয়েট নেতার হাতে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের দায়িত্ব তুলে দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। নতুন সাধারণ সম্পাদক করা হল হল গুলাম নবি আজাদ এবং কমল নাথকে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবিকে উত্তরপ্রদেশে দলের দায়িত্ব দেওয়া হল।
জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ এর আগে দু’বার উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে ছিলেন। সামনের বছর সেখানে বিধানসভা ভোট। গত লোকসভা নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে আশিটির মধ্যে মাত্র দু’টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। এই দু’টি হল, অমেঠি ও রায়বরেলি। একটিতে জিতেছিলেন রাহুল গাঁধী। অপরটিতে সনিয়া গাঁধী। একসময় যে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল, সেই রাজ্যেই শেষবার ১৯৮৯ সালে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিল।
নয়ের দশকের শুরুতে মন্দির-মণ্ডল রাজনীতির সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে গুরুত্ব হারাতে শুরু করে কংগ্রেস। এখন চতুর্থস্থানে পৌঁছে গিয়েছে তারা। এই প্রেক্ষাপটে উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা ভোটে দলের হাল ফেরাতে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য নিয়েছে কংগ্রেস।
২০১৪-র লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী এবং সম্প্রতি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারের ভোট-কৌশল নির্ধারণের দায়িত্বে ছিলেন এই প্রশান্ত কিশোরই। এবার তাঁর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল বহুযুদ্ধের পোড় খাওয়া সেনাপতি গুলাম নবি আজাদকে। যিনি গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব দলের সুসম্পর্কের জন্যও পরিচিত।
উত্তরপ্রদেশে জিততে ইলাহাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের মধ্যে দিয়ে যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি, তখন গোবলয়ের বুকে পুরনো প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে কংগ্রেস মায়াবতীর সঙ্গে হাত মেলায় কি না, সেদিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। এই পরিস্থিতিতে গুলান নবি আজাদের হাত ধরে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সুদিন ফেরে কি না, তার উত্তর আগামী দিনেই মিলবে।