মুম্বই: আস্তাকুঁড়ে কর্দমাক্ত অবস্থায় পড়েছিল ছোট্ট অনশ। সারা মুখে মাছি ভ্যান ভ্যান করছিল। কেউ সেই ছোট্ট প্রাণটিকে কোল দিতে কাছে এগিয়ে আসেননি। কিন্তু সেই ছোট্ট প্রাণটিকে দেখে মন কেঁদে ওঠে ভিড়ারের ব্যবসায়ী নীমেশ বনশালীর। তাকে উদ্ধার করে, পরিষ্কার করে যত্ন-ভালবাসায় হাসপাতালে নিয়ে যান নীমেশ। কিন্তু আইনি মারপ্যাঁচে গতকাল নীমেশের থেকে কেড়ে নেওয়া হয় ছোট্ট অনশকে। সদ্যোজাতকে ডোমবিভিলির শিশুদের এক হোমে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইজন্যে তাকে গতকালই নীমেশের কোল থেকে ছিনিয়ে নেয় 'নিয়ম' অর্থাত্ প্রশাসন।

এক সপ্তাহ আগে তাকে কোল দিতেও সকলে ঘৃণা বোধ করেছিল, তখন তাকে যত্নের সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন নীমেশ। কিন্তু নীমেশের অভিযোগ সাতদিন তিনি বাচ্চাটির সমস্ত খেয়াল রাখলেও, কাল আদালত হয়ে হোমে নিয়ে যাওয়া হলে, নীমেশ ও তাঁর স্ত্রীকে সেখানকার চৌকাঠও পেরোতে দেয়নি হোমের লোকেরা। তাঁদের সঙ্গে আক্ষরিক অর্থেই দুর্ব্যবহার করে হোম থেকে বের করে দেন কর্মীরা। চোখের জলে বিদায় জানালেও অনশের সেখানে সঠিক খেয়াল রাখা হচ্ছে কিনা সেবিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নীমেশ ও তাঁর স্ত্রী। নীমেশ দুঃখপ্রকাশ করেছেন নিয়মের বেড়াজালে একটা ছোট্ট প্রাণ নিজের অজান্তেই বিভিন্ন দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাচ্চাটিকে অন্তর্বর্তীকালীন হেফাজতে নেওয়ার জন্যে আদালতেও আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন সেই ব্যবসায়ী।

যে হাসপাতালে এই সাতদিন অনশ-এর চিকিত্সা চলেছে, সেখানকার চিকিত্সকেরাও তাকে বিনামূল্য সমস্ত ভ্যাক্সিন দিতে রাজি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।