লখনউ: ফের ধর্ষণের কারণে শিরোনামে বদায়ুঁ। উত্তরপ্রদেশের এই জেলায় এক মহিলাকে গণধর্ষণ ও সেই ঘৃন্য কাজের ভিডিও তৈরি করে বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার ৬ জন। ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন নাবালকও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


খবরে প্রকাশ, বেশ কয়েকমাস আগে, বছর তিরিশের ওই মহিলাকে মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে ৬ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছর। শুধু ধর্ষণ করাই নয়, ওই অপরাধের ভিডিও বানিয়ে বাজারে বিক্রিও করে অভিযুক্তরা। ভিডিও ক্লিপটি ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।


পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত বছরের অক্টোবর মাস নাগাদ। শনিবার বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। তদন্তে নেমে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মহিলা দলিত সম্প্রদায়ভুক্ত। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি এতদিন চুপ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।


পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপটি স্থানীয়দের মধ্যে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করে অভিযুক্তরা। নির্যাতিতার অভিযোগ, পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ওই ভিডিও বাজারে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও ভয় দেখিয়েছিল ধৃতেরা।


জানা গিয়েছে, মহিলা পরিচারিকার কাজ করেন। তাঁর স্বামী ঠেলা চালিয়ে উপার্জন করেন।


অন্যদিকে, ভাইপোর কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় খুন হতে হল মেরঠের মহিলাকে। বুধবার, ঘর থেকে মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


মহিলার শ্বাসনালি চিরে দেওয়া হয়। এরসঙ্গে, শরীরে একাধিকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় মহিলাকে। এই ঘটনায় মহিলার ভাইপোকে গ্রেফতাপ করে পুলিশ। ২২ বছর-বয়সী অভিযুক্ত যুবক বিকম ফাইনাল বর্ষের ছাত্র।


পুলিশের দাবি, কু-প্রস্তাব দিলে অভিযুক্তকে চড় মারেন মহিলা। এমনকী, বাড়ির সকলের কাছে ভাইপোর এই বদ-মতলব খোলসা করে দেবেন বলেও জানান। প্রতিহিংসায় রান্নাঘর থেকে ছুরি এনে মহিলাকে এলোপাথারি কোপ মারতে থাকে যুবক। মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা চিরে দেওয়া হয়।


পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে নেমে তারা দেখে প্রথম থেকেই বেশ ভয়ে ছিল যুবক। তখন থেকেই সন্দেহ হয়। পরে, টানা জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে সব স্বীকার করে অভিযুক্ত।