নয়াদিল্লি: ডান কবজির ফুল আঁকা উলকি দেখে মাকে সনাক্ত করেছে সঞ্জনা। শাড়িতে জড়ানো মায়ের মাথা আর দুটো হাতই উদ্ধার হয়েছে শুধু দিল্লির রোহিণী সেক্টর ফাইভের পরিত্যক্ত এক পার্ক থেকে।


সঞ্জনার জ্যাঠা রমা শঙ্কর স্বীকার করেছে, বাড়ির বৌয়ের রোজগার অন্যদের থেকে বেশি হওয়ায় সেই খুন করেছে তাকে।

১৭ বছরের সঞ্জনার মা কলাবতীর বয়স বেশি ছিল না, মাত্র ৩১। রমা শঙ্করের ভাই লালকে ভালবেসে বিয়ে করেছিল। সংসার চালাতে প্রসাধনীর দোকান খুলেছিল কলাবতী, দিল্লিতে বাড়ির কাছে এক নির্মাণ সংস্থায় কাজও করত। তার স্বামী চালাত ই রিকশা। আর্থিকভাবে স্বাধীন মেয়েটি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাত, সংসারের সিংহভাগ খরচও মেটাত সে।

সুখেই চলছিল কলাবতীদের সংসার। বাদ সাধে রমা শঙ্কর। ছোট ভাইয়ের পারিবারিক রোজগার তার থেকে বেশি, এটা সে সহ্য করতে পারছিল না। সঞ্জনা জানিয়েছে, মায়ের কাছ থেকে তার জ্যাঠা ১ লাখ টাকা চেয়েছিল, মা দিতে না চাইলে হুমকি দেয়। মা ভয়ে কাঁদত কিন্তু বাবার বিপদ হতে পারে ভয়ে তাকে কিছু বলেনি। এভাবেই বিপদ মাথায় করে রোজ যেত কাজে।

শুক্রবারও এভাবেই অফিস গিয়েছিল কলাবতী। সকলের জন্য প্রাতঃরাশ আর দুপুরের খাবার তৈরি করে রেখেছিল। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ফিরে আসার কথা। কিন্তু তারপরেও না ফিরলে বাড়ির লোক পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশের সঙ্গে রোহিণীর ওই পার্কে গিয়ে সঞ্জনা তার মায়ের কাটা মাথা আর টুকরো করা হাত সনাক্ত করে।

রমা শঙ্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে স্বীকার করেছে, কলাবতীকে খুন করে তার দেহাংশ শাড়িতে জড়িয়ে চলন্ত টেম্পোর ওপর ছুঁড়ে ফেলে সে।