নয়াদিল্লি: বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে রাজধানী দিল্লির আকাশ। এমতাবস্থায়, যথাসম্ভব গাড়ি বর্জন করে গণ-পরিবহণের মাধ্যম ব্যবহার করতে দিল্লিবাসীদের উদ্দশ্যে নির্দেশিকা জারি করল অরবিন্দ কেজরীবাল প্রশাসন। বাসিন্দাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ধূমপান না করতে। একইসঙ্গে, শহরের সব নির্মাণকাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি প্রশাসন।


বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং পরিবেশ দূষণ রোধ ও ও নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্যা সুনীতা নারায়ণের উপস্থিতিতে ওই নির্দেশিকা অনুমোদন করেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজাল। জানা গিয়েছে, দিল্লির সড়কে জোড়-বিডোড় গাড়ি নম্বরের সিস্টেম পুনরায় চালু করা হবে কি না, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বৃহস্পতিবার।


জানা গিয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, অত্যাবশ্যক পণ্য ছাড়া দিল্লিতে আপাতত ঢুকতে দেওয়া হবে না কোনও ট্রাককে। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে নির্মাণে। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পার্কিং ফি। বাড়ানো হয়েছে মেট্রো ও বাসের সংখ্যা। পাশাপাশি, আগামী রবিবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


এদিন দিল্লিবাসীদের উদ্দেশ্যেও একগুচ্ছ নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে কেজরী-প্রশাসন। সেখানে বলা হয়েছে, বেশি করে গণ-পরিবহণ যেমন বাস, মেট্রো ও পুল-কার ব্যবহার করতে। বাসিন্দাদের নির্দেশ, ধূমপান বন্ধ করুন। যথাসম্ভব চারদেওয়ালের মধ্যে থাকুন। বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে, প্রাতঃভ্রমণ বা সান্ধ্যভ্রমণ কম করতে। শুকনো পাতা, খড়-জাতীয় এবং কয়লা না জ্বালাতে।


এর পাশাপাশি, স্বাস্থ-সংক্রান্ত নির্দেশিকাও জারি করেছে দিল্লি প্রশাসন। সেখানে বলা হয়েছে, বেশি পরমাণে ইষদুষ্ণ জল খেতে। নিয়মিত গার্গল করতে। নাক ও গলা পরিষ্কার রাখতে। সম্ভব হলে মাস্ক ব্যবহার করতে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাসিন্দাদের কোনও সময় শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দেওয়া মাত্র তাঁরা যেন নিকটবর্তী স্বাস্থ্য ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা করান। এর জন্য সব সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় চিকিৎসা প্রদান করা হবে বলেও জানিয়েছে আপ সরকার।