নয়াদিল্লি ও কলকাতা: দেশজুড়ে ধর্মঘটের জেরে স্বাভাবিক ব্যাঙ্কিং বিপর্যস্ত পরিষেবা।
নোট বাতিলের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। এই অভিযোগে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট ডাক দেয় ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের ৯টি সংগঠন। ফলস্বরূপ, এদিন সব রাজ্যেই কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। বন্ধ এটিএম-ও।
অন্যান্য রাজ্যের মত এদিন পশ্চিমবঙ্গেও প্রভাব পড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের। সরকারি বা বেসরকারি, দেশী বা বিদেশি—সব ব্যাঙ্কের কপাট বন্ধ ছিল। শাটার নামানো ছিল সব এটিএমগুলিতেও। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক দফতর খোলা থাকলেও, অন্য ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় চেক ক্লিয়ারিং হয়নি।
ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার অভিযোগ, নোট বাতিলের জেরে ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। নোট বাতিলের সময় ব্যাঙ্ক কর্মীদের অতিরিক্ত কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু তার জন্য কোনও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়নি।
তাদের আরও দাবি, কেন্দ্রীয় বাজেটে কালো টাকা উদ্ধার নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি। নোট বাতিলের ঘোষণার সময় বলা হয়েছিল, এর ফলে জঙ্গি কার্যকলাপ কমবে। কিন্তু, বাস্তবে এমনটা হয়নি বলে অভিযোগ ব্যাঙ্ক এমপ্লোয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার।
৯ ধর্মঘটী ব্যাঙ্ক সংগঠনের মাথা ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন (ইউএফবিইউ)-এর পশ্চিবঙ্গ শাখার সাধারণ সম্পাদক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ধর্মঘট পুরোপুরি সফল। তাঁর অভিযোগ, ব্যাঙ্কিং আইনে পরিবর্তন এনে সরকার বেশ কিছপ সরকারি ব্যাঙ্কের বেসরকারীকরণ করতে চাইছে।
তিনি আরও জানান, সরকার ব্যাঙ্ককর্মীদের গ্যাচুইটির ঊর্ধ্বসীমা ১০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাবকেও খারিজ করেছে। পাশাপাশি, ব্যাঙ্ক ইউনিনগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের যে ১১ তম দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা হয়েছিল, সেই নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য করছে না সরকার। ফলে, সব মিলিয়ে এতগুলি দাবি নিয়ে এদিনের ধর্মঘট।