আয়কর দফতর আগেই জানিয়েছিল, ব্যাঙ্কে জমা পড়া টাকার অঙ্কের ওপর নজর রাখছে তারা। এদিন সমস্ত ব্যাঙ্কের কাছে দফতরের স্পষ্ট নির্দেশ, আড়াই লক্ষ টাকার ওপর কোনও অ্যাকাউন্টে জমা পড়লেই তা যেন জানানো হয়। পাশাপাশি, দেশের ২৫টি শহরের ৬০০ টিরও বেশি দোকানের কাছে, গত কয়েকদিনে সোনা ও গয়না বিক্রির হিসেব চেয়েছে শুল্ক দফতর।
প্রসঙ্গত, এতদিন ব্যাঙ্কে বছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা করতে হলে জানাতে হত আয়কর বিভাগকে। কিন্তু এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৫০ দিনের মধ্যে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি ব্যাঙ্কে জমা পড়লেই আয়কর বিভাগকে তা জানানো বাধ্যতামূলক।
শুল্ক দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কাউকে অযথা অসুবিধায় ফেলা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। যাঁরা বৈধ পথে টাকা রাখবেন তাঁদের চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু কেউ যেন এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে কালো টাকা ব্যাঙ্কে ঢোকাতে না পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
এর সঙ্গে সোনার দোকানেও বেআইনি বিক্রি হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, আমদাবাদ, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, ভোপাল লখনউ সহ দেশের ২৫ টি শহরের ৬০০-র বেশি দোকানে হিসেব চেয়েছে শুল্ক দফতর। গত চারদিনের গয়না বিক্রির হিসেব দেখতে চেয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সেন্ট্রাল এক্সাইজ ইন্টেলিজেন্স (ডিজিসিইআই)।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গয়না কেনার ক্ষেত্রে প্যান নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। কেউ যদি লেনদেনের সময় প্যান নম্বর না নিয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।