ঢাকা: ভারত সম্পর্কে দু-মুখো নীতি নিয়ে চলছে খালেদা জিয়ার দল। অভিযোগ করলেন বাংলাদেশের মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর বক্তব্য, আওয়ামি লিগকে ভারতপন্থী হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি নিজেদের ভারত বিরোধী হিসেবে দেখাতে চাইছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, যাতে তারা আঞ্চলিক রাজনীতিতে সুবিধেজনক পরিস্থিতি পায়।

বিএনপি অভিযোগ করে, দিল্লির চাপে নতিস্বীকার করে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে ঢাকা। এর ফলে বিঘ্নিত হতে পারে জাতীয় নিরাপত্তা। তাদের দাবি, এ বিষয়ে সব কিছু দেশের মানুষকে জানানো হোক।

জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন খালেদা জিয়াই বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে ভারতকে প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তাই ভারত বিরোধী কথাবার্তা বিএনপির মুখে মানায় না। তাঁর কথায়, বিএনপি মুখেই ভারত বিরোধী, অথচ তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা বিএনপির অন্যতম শক্তিকেন্দ্র হাওয়া ভবনে বসে থাকতেন।

হাসিনার দাবি, তাঁর সরকার, গঙ্গা জল চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশকে গঙ্গার জলের ন্যায্য অংশ পাইয়ে দিয়েছে। অথচ ১৯৯১-এ খালেদা যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিল্লি যান, তখন এ বিষয়ে কথা বলতে স্রেফ ভুলেই গিয়েছিলেন। ফিরে আসার পর যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, গঙ্গার জল ইস্যুতে কী কথাবার্তা হল, তিনি বলেন, ‘ও, আমি একেবারে ভুলে গিয়েছিলাম’। এতে পরিষ্কার, আসলে কোন দল ভারতের দালালি করছে।

হাসিনার বক্তব্য, তাঁর সরকার শুধু গঙ্গার জলের প্রাপ্য অংশ আদায়ই করেনি, ভারতের সঙ্গে জমি বিনিময় করে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছে, নতুন করে সীমান্ত চিহ্নিত করেছে, ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে জলসীমা সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়েছে। সব ক্ষেত্রেই তাঁর সরকার দেশের স্বার্থরক্ষা করেছে বলে তাঁর দাবি।