গ্যাংটক: চিনা আগ্রাসন রোখার জন্য সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানদের সতর্ক করে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের পাশাপাশি চিন সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির সরকারকেও সতর্ক করে দিয়েছেন রাজনাথ। পাশাপাশি, চিন সীমান্তে বসবাস করা মানুষকে যাতে অন্যত্র চলে যেতে না হয়, তার জন্য উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এই প্রথম চিন সীমান্তের পাঁচটি রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, ‘অতীতে ভুল বোঝাবুঝির ফলে চিনের সেনা জওয়ানরা সীমান্ত টপকে ভারতে ঢুকে পড়তেন। সেই ঘটনা এখন কমেছে। মাঝেমধ্যে দু দেশের জওয়ানরা মুখোমুখি লড়াইয়ে জড়ান। আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়।’ এই বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভাল। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।

সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। দলাই লামার অরুণাচল সফরের বিরোধিতা করেছে চিন। ভারত আবার বেজিংয়ে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ সম্মেলন বয়কট করেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ রাজ্যের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। উত্তরাখণ্ড, সিকিম ও অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশ সরকার প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল। জওয়ানদের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, নানা সমস্যা সত্ত্বেও জওয়ানরা নিজেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সীমান্তে পরিকাঠামোর উন্নতি করতে হবে। সীমান্তে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁরা কৌশলগত সম্পদ। তাঁদের যাতে অন্যত্র সরে যেতে না হয়, তার জন্য জনকল্যাণমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হবে।