বেঙ্গালুরু: নিঃস্ব হতে বসেছিলেন বছর দুয়েক আগে। ব্যবসার মন্দায় ভুগছিলেন প্রচণ্ড আর্থিক অনটনে। নিরুপায় অবস্থায় বেছে নিয়েছিলেন ভগবানের আশ্রয়।

প্রত্যেক মাসে নিয়ম করে বেঙ্গালুরু থেকে পাড়ি দিতেন কেরলেন চোট্টানিকারা দেবী মন্দিরে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফিরতে শুরু করল ভাগ্য। ব্যবসায়ী গণেশ শ্রবণ স্বামীর দৃঢ় বিশ্বাস, ভগবান তাঁর ডাকে সাড়া দেওয়াতেই ফিরেছে তাঁর ভাগ্য।

গণেশ মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব রাখেন ৭০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার। কোচির চোট্টানিকারা দেবীর ছোট্ট মন্দিরটি হয়ে উঠুক বিশ্বের অন্যতম সেরা মন্দির, সেই ভাবনা নিয়েই এগোচ্ছেন তিনি।

ইতিমধ্যে মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর ইচ্ছা নিয়ে কথাও বলেছেন গণেশ। বছরখানেকের বেশি ধরে কথাবার্তা চলার পর আপাতত খাতায় কলমে যাবতীয় কাজের পদক্ষেপও শেষ। এখন শুধু অপেক্ষা কেরল হাইকোর্টের নির্দেশের।

কোনও ভক্তের থেকে এত বড় মাপের অনুদান নিয়ে মন্দির গঠন বা সংস্কারের কাজ করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে ছাড়পত্র লাগবে আদালতের। কোচিনের দেবাসম বোর্ড গণেশকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তাই আপাতত আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায়।