বেঙ্গালুরু: বেআইনিভাবে গো হত্যার খবর পুলিশে জানিয়েছিলেন তিনি। পুলিশকে নিয়েও গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে, যেখানে গরু জবাই চলছিল। এই অপরাধে  বেঙ্গালুরুর এক মহিলা ইঞ্জিনিয়ারের ওপর হামলা চালাল অন্তত ১০০ দুষ্কৃতী। অভিযোগ, পুলিশও সাহায্য করেনি তাঁকে।


অভিযোগকারিণীর নাম নন্দিনী। তিনি কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বেঙ্গালুরুর জেপি নগরের টিপু সার্কলের কাছে আভালাহাল্লি এলাকা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন দেখেন, কয়েকজন নির্জন একটি এলাকায় একের পর এক গরু নিয়ে গিয়ে জবাই করছে।

ওই এলাকায় চালু রয়েছে বেশ কয়েকটি বেআইনি গো মাংসের দোকান। নন্দিনী ও তাঁর বন্ধুরা হাজির হন স্থানীয় থালাঘাট্টাপুরা পুলিশ স্টেশনে, অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ যখন অপরাধীদের সন্ধানে বার হচ্ছিল, তখন তাঁরা বলেন, তাঁদেরও সঙ্গে নিতে, জায়গাটা তাঁরা দেখিয়ে দিতে পারবেন।

সেইমতো তাঁর গাড়িতে উঠে বসেন ২ জন কনস্টেবল। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, গরু জবাই তখনও চলছে, ভিড় জমেছে অনেকের। এলাকার পুলিশ পৌঁছেছে ভেবে তাঁরা গাড়ি নিয়ে ভেতরে চলে যান। আর দেখেন, কোথাও কোনও পুলিশ নেই, তাঁদের ঘিরে ধরেছে জনতা। এরপরই তাঁদের গাড়ির ওপর ইটবৃষ্টি শুরু হয়।

গাড়িতে থাকা ২ কনস্টেবল চটপট নেমে যান, নন্দিনীকে কোনও সাহায্য করারই চেষ্টা করেননি। মারমুখী জনতা পাকিস্তানপন্থী স্লোগান দিতে দিতে গাড়িতে ইট পাথর ছুঁড়তে থাকে। তাঁর গাড়ির কাঁচ চুরমার হয়ে যায়, গুরুতর জখম হয় ডান কাঁধ। নন্দিনীর অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের কথা আগে থেকে অপরাধীদের কাছে পাঠিয়ে দেয়, তারপর তাঁদের বিপদের মধ্যে এনে নিজেরা সরে পড়ে।

কোনওক্রমে পুলিশ স্টেশনে ফিরে এলে তাঁদের ওপরেই চেঁচামেচি করেন সাব ইন্সপেক্টর, অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তাঁদের রক্তাক্ত চেহারার ছবি তুলতেও অস্বীকার করেন তিনি। এ নিয়ে তিনি আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে কিন্তু তা নানা ধারা এনে শিথিল করে দেওয়া হয়।

কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। কংগ্রেস আমলে কর্নাটকের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।