শর্মা বলেন, যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি দেখা দিলে আরএসএস তিনদিনেই নিজের বাহিনী তৈরি করে ফেলতে পারে, সেখানে সেনাবাহিনীর ৬-৭ মাস লেগে যায়, এই দাবি করে আরএসএস প্রধান সরাসরি ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে অপমান করেছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা, সাহস নিয়েই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। এজন্য তাঁর দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এ ধরনের মন্তব্য, ভাবনা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর মনোবল দুর্বল করে।
তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং সংবিধানের সম্মতি মিললে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যেখানে দেশকে তৈরি করতে ৬ থেকে ৭ মাসে লেগে যায়, সেখানে সঙ্ঘের স্বয়মসেবকদের তিনদিনেই প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা সম্ভব, কারণ তারা নিয়মিত শৃঙ্খলা চর্চা করে, ভাগবতের এই মন্তব্যের জবাব দিয়ে শর্মা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলুন, তিনি কি জাতীয় নিরাপত্তার ভার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরিবর্তে আরএসএসের হাতে দেওয়ার কথা ভাবছেন। আমাদের আশা, এই ভুলটা সংশোধন করা হবে, কেননা এতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা হবে না, সারা দেশ এতে উদ্বিগ্ন, তাই বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। এর চেয়ে বড় অপমান আর কিছুই নয়। আমরা গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে কোনও সংগঠন বা সংস্থাকে জাতীয় প্রতিরক্ষার ভার দেওয়ায় সায় দিতে পারি না। ভারতীয় সেনাবাহিনী যখন একটা ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা মোকাবিলায় ব্যস্ত, তখন এটা দুঃখজনক ও বিস্ময়কর যে, আরএসএস প্রধান এরকম একটা গভীর উদ্বেগজনক মন্তব্য করলেন। এটা সাংবিধানিক কাঠামোর প্রতি, ভারতীয় সেনাবাহিনী যে তেরঙ্গা পতাকাকে রক্ষা করে, তাকে অসম্মান।