আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ভাজিয়াওয়ালার মোট ২৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, এরমধ্যে ২০টি বেনামি অ্যাকাউন্ট। এই কুড়িটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই তিনি তাঁর কালো টাকার সিংহভাগ লেনদেন করেছিলেন। যদিও তিনি এখনও পর্যন্ত ঠিক কত টাকা তাঁর বেনামি অ্যাকাউন্টগুলোতে জমা দিয়েছেন বা তুলেছেন, সেবিষয় সঠিক তথ্য নেই তদন্তকারী সংস্থার হাতে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ভাজিয়াওয়ালা, তাঁর বিভিন্ন নকল প্রতিনিধির মাধ্যমে নভেম্বরের ১২, ১৩, ১৪ তারিখে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে যথাক্রমে এক, দু, চার লক্ষ টাকা জমা করেন। প্রায় ২১২জন লোককে পুরনো বাতিল নোটকে ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে নতুন নোটে পরিবর্তন করতে ব্যবহার করেছেন। এমনকি সুরাটের সমবায় ব্যাঙ্কের সিনিয়র ম্যানেজার পঙ্কজ ভট্টও এই লেনদেন-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এছাড়া তাঁর থেকে বাজেয়াপ্ত করা ১.৪৫ কোটি টাকা কোথা থেকে এসেছিল, তারও সন্ধানে রয়েছে সিবিআই। ভাজিয়াওয়ালার অন্য অ্যাকাউন্টগুলোর ওপরও নজর রয়েছে সিবিআইয়ের।
এক সূত্রের দাবি, ব্যাঙ্ককর্মীদের সাহায্য ছাড়া এত বেশি পরিমাণ নতুন নোট এইমুহূর্তে ব্যাঙ্ক থেকে তোলা কখনওই সম্ভব নয়। ভাজিয়াওয়ালার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩,০০ কোটি। তাঁর শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে, রয়েছে রো হাউস। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, প্রথমে জমি-বাড়ির কারবারীদের থেকে ধারে সম্পত্তি কিনতেন ভাজিয়াওয়ালা। তারপর দেখাতেন তিনি দাম দিতে পারেননি জমির। তারপর জমি নিজের নামে করে নিতেন।