নয়াদিল্লি: নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। বেশ কিছু রাজ্য বিরোধী দলগুলি ধর্ণা শুরু করেছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যান চলাচল ব্যহত করতে চাক্কা জ্যামেরও চেষ্টা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে বাম কর্মী ও সমর্থকরা রেল অবরোধ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। হরিয়ানা ও পঞ্জাবে ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব দেখা গিয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলি সহ বিরোধীরা নতুন আইন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে।




এক ঝলকে কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি
উত্তরপ্রদেশ- সমাজবাদী পার্টির কর্মীসমর্থকরা কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা এই ধর্মঘটের সমর্থনে প্রয়াগরাজে রেল অবরোধ করেন। তাঁরা রেল লাইনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ-বিশাখারপত্তনমে ধর্মঘটের সমর্থনে বাম-কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ।
কর্ণাটক- কৃষক সংগঠনগুলির দেশজুড়ে ধর্মঘটের সমর্থনে বেঙ্গালুরুতে অবস্থান বিক্ষোভ কংগ্রেসের।
পঞ্জাব- অমৃতসরে ধর্মঘটে বন্ধ দোকানপাঠ। কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির মহাসচিব বলেছেন, দোকানপাট কার্যত বন্ধ, জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে। লোকজন নিজে থেকেই শাটার বন্ধ রেখেছেন।
বিহার- হাজিপুর, জাহানাবাদ, খাগড়িয়া, দ্বারভাঙা সহ অন্য কয়েরটি জেলায় বিরোধী জোটের শরিকদলগুলি সকাল থেকেই পথে নেমে কৃষি আইন বাতিলের দাবি দেশজুড়ে ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
তেলঙ্গানা- তেলঙ্গানার কামরেড্ডিতে সড়ক পরিবহণ নিগমের কর্মচারীরা দেশজুড়ে ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছেন। এক বাস চালক বলেছেন, আমরা আরটিসি-র কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছি। কৃষকদের সঙ্গে কোনও অন্যায় হওয়া উচিত নয়।


সিঙ্ঘু বর্ডারের পরিস্থিতি- কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ১৩ তম দিনে আন্দোলনরত কৃষকরা তাঁদের অবস্থানে অনড়। কৃষকদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সিঙ্ঘু বর্ডারে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
টিকরি বর্ডারের পরিস্থিতি- কৃষি আইনের বিরুদ্ধে টিকরি বর্ডারেও কৃষকদের বিক্ষোভ জারি। এখানে প্রচুর সংখ্যায় কৃষক সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। আগামীকাল কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষক সংগঠনগুলির ষষ্ঠ দফার আলোচনা হবে।