নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড়সড় অভিযান। আজ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ অভিযান। দেশে দুটি টিকা আপৎকালীন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একটি হল কোভ্যাক্সিন। ৫৫ লক্ষ কোভিড-১৯ টিকা কোভ্যাক্সিনের ডোজ সরবরাহের বরাত পেয়েছে প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। সংস্থার পক্ষ থেকে এই টিকা নেওয়ার পর কারুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলে ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথা জানানো হয়েছে। টিকা নেওযার জন্য যে সম্মতিপত্রে হস্তাক্ষর দিতে হয়, সেখানে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, কোনও প্রতিকূল বা গুরুতর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকাগ্রহণকারীকে সরকার স্বীকৃত কেন্দ্র ও হাসপাতালে স্বীকৃতি মানের চিকিৎসা প্রদান করা হবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গুরুতর প্রতিকূল পরিস্থিতি প্রমাণিত হলে স্পনসর (বিবিআইএল) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করার সক্ষমতা দেখিয়েছে।
তবে এর ক্লিনিক্যাল কার্যকারিতার বিষয়টি এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি এবং তৃতীয় পর্বের পরীক্ষায় এ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে বলে জানানো হয়েছে। সম্মতিপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, জেনে রাখা ভালো যে, এই টিকা নেওযার অর্থ এই নয় যে, কোভিড ১৯ সংক্রান্ত অন্যান্য সতর্কতা অনুসরনের প্রয়োজন নেই।
টিকা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্বে থাকাকালীনই এই টিকা প্রদান করা হচ্ছে। সেজন্য গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে।
কেন্দ্রীয় লাইসেন্স প্রদানকারী সংস্থা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে থাকাকালীন জনস্বার্থে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য এই টিকার বিক্রয় বা বিতরণের অনুমতি দিয়েছে।
এরইমধ্যে ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের জয়েন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুচিত্রা এল্লা ট্যুইট করে বলেছেন, কোভ্যাক্সিন ও ভারত বায়োটেক দেশ, করোনা যোদ্ধাদের সেবা করতে পেরে সম্মানিত ও কৃতজ্ঞ।
প্রথম দিনের টিকাকরণ অভিযানে দেশে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭১৪জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে । রাজ্যে প্রথম দিন প্রায় ১৫ হাজার ৮৮৩জনের টিকাকরণ হয়েছে। কলকাতায় প্রথম দিনে ১ হাজার ৭৩৭জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। রাজ্য জুড়ে ২০৭টি কেন্দ্রে করোনার টিকাকরণের কাজ হয়েছে ।