জব্বলপুর: ভোপালের গণধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্টে বড় রকমের ভ্রান্তির অভিযোগ ওঠায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজিপি ও অন্যদের নোটিস দিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে সংবাদপত্রে বেরনো রিপোর্টকে তাত্ক্ষনিক বিবেচনায় এনে, তাকে জনস্বার্থ পিটিশন হিসাবে ধরে গতকালই নোটিস জারি করেছেন প্রধান বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা। তিনি ১৩ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মহম্মদ ফাহিম আনোয়ার।
মেয়েটির মেডিকেল রিপোর্টে দাবি করা হয়, ধর্ষণ হয়নি, তার 'সম্মতি',ইচ্ছানুসারেই' যৌন সম্পর্ক হয়েছিল। রিপোর্টটি তৈরি করেছেন সুলতানিয়া লেডি হাসপাতালের ডাক্তাররা। রিপোর্টের এক জায়গায় ১৯ বছরের মেয়েটিকে 'নিগৃহীতা'নয়, 'অভিযুক্ত' বলা হয়। এ নিয়ে শোরগোল উঠলে ডাক্তাররা এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে দাবি করেন। দু দিন আগে তাঁদের নোটিস দেন ভোপালের ডিভিশনাল কমিশনার। তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। পুলিশ ব্যাখ্যা চাইলে তাঁরা বলেছিলেন, ভুল করে রিপোর্টে উইদাউট শব্দের বদলে উইথ শব্দটি লেখা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য, রিপোর্টে ভুল থাকলেও মেনে নেওয়া হয়েছে যে, মেয়েটির ওপর ধর্ষণ হয়েছে, তার গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর রাতে কোচিং ক্লাস থেকে বাড়ি ফেরার সময় ভোপালে রেললাইনের ধারে মেয়েটিকে চারজন ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, রিপোর্টের ভুলগুলি তেমন গুরুতর নয়, কেননা সেগুলি রয়েছে ঘটনাটি বিস্তারিত নথিভুক্ত করার কলামে।
প্রসঙ্গত, মেয়েটি তার ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও কোনও থানা তা নিতে চায়নি, তাকে ঘোরানো হয়েছে, এই অভিযোগ পেয়ে রাজ্য সরকার পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে। অভিযোগ, তাঁরা কর্তব্যে গাফিলতি করেছেন, ফলে মামলা রুজু করতে দেরি হয়েছে।