নয়াদিল্লি: বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (বিএইচইউ) ভারতীয়ত্বের প্রতীক, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় অ-ভারতীয়ত্বের। বললেন আরএসএস নেতা মোহন বৈদ্য। সঙ্ঘের প্রচার শাখার ইনচার্জ ও সরকারি মুখপাত্র তিনি।
বৈদ্যের অভিমত, ভারত সম্পর্কে দুটি ধারণা আছে, একটি এসেছে পশ্চিমি ভাবনা থেকে, যার চরিত্র ভারতীয় নয়, অন্যটি পুরোপুরি ভারতীয়। বর্তমানে দেশে যে আদর্শগত সংঘাত চলছে, সেটি আসলে ভারত সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির লড়াই।
তিনি বলেন, জেএনইউ অ-ভারতীয়ত্বের নিদর্শন হলে বিএইচইউ ভারতীয়ত্বের উদাহরণ। হিন্দু শব্দটি সাম্প্রদায়িক নয়। বিএইচইউয়ের সংবিধান দেখুন, তাতে ভারতীয়ত্বের কথাই বলা হয়েছে।
আরএসএসের মতাদর্শ প্রচারকারী দুটি সাপ্তাহিক অর্গনাইজার ও পাঞ্চজন্য-এর ৭০-তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এগুলি আরএসএসের মুখপত্র নয়। কার্যত, আরএসএসের কোনও মুখপত্রই নেই। ওগুলি জাতীয়তাবাদী পত্রিকা।
সবাইকে সামিল করা, অন্তর্ভুক্ত করাই আরএসএসের দর্শন বলে জানান তিনি। বৈদ্যের অভিযোগ, যারা নিজেদের উদার, মুক্তমনা বলে দাবি করে, তারা নিজেরাই ভিন্ন মতামতের মানুষজনের প্রতি খুব অসহিষ্ণু আচরণ করে, চরম অনুদার হয়ে ওঠে।
সর্দার বল্লভভাই পটেল ও জওহরলাল নেহরুর মধ্যে সোমনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণ প্রসঙ্গে মতভেদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কীভাবে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ওই মন্দির ফের গড়ে তোলার জন্য পটেল ও কে এম মুন্সির প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন, সেসব মুন্সি পেপার্সেই আছে। তবে নেহরু ভারত-বিরোধী ছিলেন না, যদিও তাঁর দর্শন ছিল পটেল, মুন্সি এমনকী দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ এস রাধাকৃষ্ণানের থেকে আলাদা।

এ প্রসঙ্গে আপনার মতামত লিখুন নীচের কমেন্টস বক্সে