রাজ্য ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে ইতিমধ্যেই আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, অসম ও কর্নাটক। হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো জানিয়েই দিয়েছেন, আইনের খসড়া তৈরির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিহারে ‘লাভ জিহাদে’র বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের দাবি তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিংহ। এই পরিস্থিতিতে’ লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ছত্তীসগঢ়ের মখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ’’অনেক বিজেপি নেতার আত্মীয় ভিন্ ধর্মে বিয়ে করেছেন। ওই বিজেপি নেতাদের কাছে আমি জানতে চাই, ওই বিয়েগুলি কী লাভ জিহাদের সংজ্ঞায়।‘‘
‘লাভ জিহাদ’ আইন প্রণয়নের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। তাঁর মতে, এই ধরনের আইন ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সামিল। তিনি বলেন, ’’বিয়ে একান্তই ব্যক্তিগত বিষয এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর বিরুদ্ধে কোনও আইন প্রণয়ন সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। ভালবাসায় জিহাদের কোনও স্থান নেই।‘‘
দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ বলেছিলেন, ‘লাভ জিহাদ’ সামাজিক ঐক্যের পক্ষে ক্যানসার-এর মতো। এটা দেশে পক্ষে বিপদ। তাই এই বিপদ রুখতে আইন প্রণয়ন জরুরি। বিহার সরকারের কাছে এ ব্যাপারে গিরিরাজ আইন প্রণয়নের দাবি তুললেও তা অন্তত প্রকাশ্যে আমল দিচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। দলের প্রবীণ নেতা বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহের মন্তব্য, ’’অনেকেই অনেক সময় নানা ধরনের মন্তব্য করেন। তা নিয়ে চর্চা করতে হবে এমন নয়।