নয়াদিল্লি: ডোকলাম ইস্যুতে চিনের বিদেশমন্ত্রকের দাবি খারিজ করল ভুটান। ডোকলামকে চিনের এলাকা বলে মেনে নেওয়ার কথা অস্বীকার  করেছে ভুটান। এর আগে চিনের বিদেশমন্ত্রক দাবি করেছিল যে, সিকিম সেক্টরের যে এলাকা নিয়ে সম্প্রতি বিবাদ তৈরি হয়েছে সেই ডোকলাম তাদের এলাকা নয় বলে জানিয়েছে ভুটান। চিনের অন্যতম শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ওয়েলনি দাবি করেছিলেন যে, ভুটান ডোকলাম তাদের এলাকা নয় বলে বেজিংকে কূটনৈতিক চ্যানেলে জানিয়েছে। এই দাবি করে চিনের বক্তব্য ছিল, ডোকলামে ভারতীয় সেনা পাঠানো সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি যখন চিনের সঙ্গে ভুটানের তখন ভারত নাক গলাচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নও তোলে  বেজিং।


কিন্তু ভুটান ওই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।

চিনের বিদেশমন্ত্রকের সীমান্ত ও সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয়ক বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ওয়েলনি গত বুধবার সফররত ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদলের কাছে এই দাবি করেছিলেন।

তবে চিনের ওই মহিলা কূটনীতিক অবশ্য তাঁর দাবির স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ দেননি। কিন্তু এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বেজিংয়ের দাবি খারিজ করে দিল ভুটান।

ভুটান সরকারের আধিকারিক সূত্র সংবাদসংস্থাকে টেলিফোনে জানিয়েছে, ডোকলামে সীমান্ত সংক্রান্ত ইস্যুতে থিম্পুর অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এক্ষেত্রে গত ২৯ জুন ভুটানের বিদেশমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতির উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে ভুটান সাফ জানিয়েছিল, ভুটানের ভূখণ্ডে রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে সরাসরি চুক্তিভঙ্গের সামিল এবং এই কাজ ভুটান ও চিনের সীমান্ত চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে।

প্রেস বিবৃতিতে ভুটান আরও বলেছিল, চিনের সেনা গত ১৬ জুন ডোকলাম এলাকার ডোকোলা থেকে জোমপেরলিতে ভুটানের সেনা শিবির পর্যন্ত যান চলাচলের উপযোগী রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছিল, চিন ও ভুটানের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা চলছে। দুই দেশের মধ্যে ১৯৮৮ ও ১৯৯৮-তে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে দুই দেশেই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রাজি হয়েছে।

ভুটান আশাপ্রকাশ করে বলে যে, গত ১৬ জুনের আগে ডোকলাম এলাকায় যে স্থিতাবস্থা ছিল তা বজায় রাখবে বেজিং।