পটনা: উপনির্বাচনে বিজেপির হারের পর থেকে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নোটবাতিলের সময় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করলেও এখন বলছেন, তাতে মানুষের কোনও উপকার হয়নি। আর এবার ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে জেডিইউ বিজেপির ওপর চাপ তৈরি করছে ২৫টা আসনের আবদার করে। গতকাল পটনায় নীতীশের বাসভবনে এই নিয়ে বৈঠক করেছেন দলীয় নেতারা।

বৈঠকের পর জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী দাবি করেছেন, বিহারে জেডিইউ বড় ভাই, বিজেপি ছোট। তাই ভোটের ময়দানে বড় ভাইয়ের ভূমিকা বড় হতে হবে। ইঙ্গিতে পরিষ্কার, লোকসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়ার শর্ত হিসেবে বিজেপির কাছ থেকে বেশি আসন চাইবে জেডিইউ। ইতিমধ্যেই নীতীশকে জোটের মুখ করে ভোট লড়ার দাবি তারা করেছে। কিন্তু বিজেপির বক্তব্য, নীতীশ বিহারে জোটের বড় নেতা হতে পারেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের নেতা। জেডিইউ-র বক্তব্য, গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির থেকে বেশি আসন পায় জেডিইউ। তাই লোকসভা ভোটেও ৪০টা আসনের মধ্যে ২৫টায় তারা লড়বে, বাকি ১৫টা দেওয়া হবে বিজেপিকে।

গত লোকসভা ভোটে ৪০টা আসনের মধ্যে ৩১টা পায় এনডিএ। ইউপিএ পায় ৭টা, জেডিইউ মোটে ২। অর্থাৎ জেডিইউ-র হাত না ধরেও বিজেপি ৩১টি আসন জিতে নেয়।

এই পরিস্থিতিতে দুই শরিকের মধ্যে অশান্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে আসরে নেমেছে আরজেডি। লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী টুইট করে বলেছেন, সুশীল মোদী বলুন, কোন হিসেবে নীতীশ কুমার নরেন্দ্র মোদীর থেকে প্রভাবশালী নেতা। নীতীশের মুখপাত্র সুশীল কি এখনও নিজেদের সবথেকে বড় নেতাকে নীতীশের হাতে অসম্মানিত হতে দেখবেন?

[embed]https://twitter.com/yadavtejashwi/status/1003306282604883968?ref_src=twsrc%5Etfw&ref_url=http%3A%2F%2Fabpnews.abplive.in%2Findia-news%2Fbihar-bjp-vs-jdu-nitish-kumar-want-25-seats-in-2019-lok-sabha-election-878009[/embed]

বিহারি রাজনীতির আর এক পরিচিত মুখ রামবিলাস পাসোয়ান এর মধ্যে দিল্লি গিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। রাজ্যকে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া ও দলিত ইস্যুতে আলোচনা করেছেন তাঁরা।