পটনা: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম।  কিন্তু  দেখা গেল, ওই ছাত্র জানে না জলের সঙ্গে H2O-এর সম্পর্ক। বিজ্ঞান শাখায় প্রথম ছাত্রর বিজ্ঞানের এই মৌলিক বিষয় সম্পর্কে অজ্ঞতায় সন্দেহ দানা বাঁধে। এছাড়াও কলা বিভাগে প্রথম ছাত্রী বলে বসে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে খাবার বানানোর বিষয়ে পড়ানো হয়। শুধু তাই নয় টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে সে অবলীলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বলে ফেলে ‘প্রোডিক্যাল সায়েন্স’ । পরীক্ষায় শীর্ষস্থানাধিকারীদের কয়েকজনের জ্ঞানের বহর দেখে চোখ কপালে ওঠে সকলের। বিড়ম্বনায় পড়ে ফের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ১৩ শীর্ষস্থানাধিকারীকে ডেকেছিল বোর্ড। ১৫ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন।এই পরীক্ষায় দেখা গেল বিজ্ঞান শাখার প্রথম স্থানাধিকারী ফেল করেছে। আর এই কারণে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম সৌরভ শ্রেষ্ঠর ফল বাতিল করল বোর্ড। এছাড়াও যে ১৩ জনকে  পুণরায় পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের আরও একজন রাহুল কুমারের ফলও বাতিল করা হয়েছে। বিহার স্কুল এক্জামিনেশন বোর্ড (বিএসইবি) চেয়ারম্যান লালকেশ্বর প্রসাদ সিংহ এ কথা জানিয়েছেন।
কলা বিভাগের প্রথম স্থানাধিকারী রুবি রাই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পরীক্ষায় আসেননি। তাকে সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বোর্ড।
পুনরায় পরীক্ষার পর বোর্ডের আধিকারিক ও  বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সৌরভ শ্রেষ্ঠ ও রাহুল কুমারের রেজাল্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান।
শীর্ষস্থানাধিকারী কয়েকজনের বিদ্যের বহর প্রকাশ্যে আসার পর চরম অস্বস্তিতে পড়ে বিহারের শিক্ষা দফতর। রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার শীর্ষ স্থানাধিকারীদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় শিক্ষা দফতর তাঁদের দ্বিতীয় বার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।  সেইসঙ্গে রেজাল্ট কেলেঙ্কারির তদন্ত করার জন্য হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে৷ জানিয়েছে বিহার শিক্ষা দফতর৷