নয়াদিল্লি: বিহারের বুকে ভোট মানেই কি কখনও কৌশলে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ তোলা, কখনও আবার সন্ত্রাসবাদকে ভোটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া? বুধবার বিজেপিকে হারিয়ে বিহারের আরারিয়া লোকসভা কেন্দ্রটি ধরে রাখে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি। আর এই ফলেই ব্যাপক চটেছে বিজেপি। চাঞ্চল্যকর এবং বিতর্কিত দাবি করেছেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য তথা বিহার থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিংহ। তাঁর দাবি, ভোটের এই ফলাফলের পর আরারিয়া খুব তাড়াতাড়ি সন্ত্রাসবাদীদের ডেরায় পরিণত হবে।

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বিজেপি হারল মানেই সেখানে সন্ত্রাসবাদীরা ঘাঁটি গাড়বে, এ কেমন কথা? তাছাড়া সন্ত্রাসবাদ রোখা তো সরকারের কাজ। লালু-পুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব কটাক্ষের সুরে ট্যুইট করে বলেছেন, ‘উনি (গিরিরাজ সিংহ) একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, তিনি জানেন না বিহার এবং দিল্লিতে তাঁদের সরকার রয়েছে। যদি তিনি এবং বিজেপি নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিশ্বাস না করেন, তাহলে তাঁকে (নীতীশ কুমার) পদত্যাগ করতে বলছেন না কেন? কিংবা সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছেন না কেন? নীতীশ কুমারের কাছে এটা লজ্জার বিষয়।’ কটাক্ষের সুরে আরজেডি বলছে,  হেরে দিশেহারা হয়ে প্রলাপ বকছে বিজেপি।

আরারিয়ায় হারের পর আজ গিরিরাজ যেভাবে সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ তুলছেন, ২০১৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এভাবেই কৌশলে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

আরারিয়ায় উপনির্বাচনের আগে বিহার বিজেপির সভাপতি নিত্যানন্দ রায়ও একইভাবে দাবি করেছিলেন, ‘আরারিয়ায় আরজেডি জিতলে এই এলাকা জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হবে।’ তারপর অবশ্য অরারিরায় সেই লালুর আরজেডি-ই জিতেছে, বিজেপি হেরেছে। আর এবার ভোটের ফল বেরোনোর পর মোদী মন্ত্রিসভার সদস্যও সেই একইরকম বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন।