বছর সত্তরের এই বৃদ্ধ নিজের কাজ নিয়ে তেমন কিছু বলতে চান না। খাল কাটা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে লৌঙ্গি বলেন, ’’এটা করতে ৩০ বছর লেগে গেল। গ্রামের পাশের জঙ্গলে গবাদি পশু চরাতে যেতাম। তার ফাঁকে ফাঁকে খাল কাটার কাজ চলত। এই কাজে আমাকে কেউ সাহায্য করেননি। কাজের খোঁজে অনেক গ্রামের বাইরে চলে গিয়েছে। কিন্তু আমি যাইনি।‘‘
লাথুলা অঞ্চলটির চারপাশে জঙ্গল ও পাহাড়ে ঘেরা। মাওবাদীদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। বর্ষাকালে পাহাড়ের ঢাল দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। সেই পাহাড়ের ঢালেই খাল খনন শুরু করেন লৌঙ্গি। পাহাড়ের ঢাল দিয়ে গড়িয়া আসা জল খালের মাধ্যমে জমা হয় গ্রামের একটি পুকুরে। ফলে জলের অসুবিধা অনেকটাই দূর হয়েছে। গ্রামবাসী পত্তি মঁঝির কথা, ’’এই খালের জন্য সেচের কাজের যেমন সুবিধা হয়েছে, তেমনই গবাদি পশুগুলিও জল পাচ্ছে।‘‘ রামবিলাস সিংহ নামে এক স্থানীয় শিক্ষকের কথা, ব্যক্তিস্বার্থ নয়, গোটা গ্রামের স্বার্থরক্ষা করেছেন লৌঙ্গি।