সমস্তিপুর: বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি-সীমানায় প্রতিবাদের আগুন এখনও জ্বলছে। তখনই কৃষক দুর্দশার আরেক ছবি সামনে এল। বিঘের পর বিঘে জমি চাষ করেও ফসলের দাম না পেয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে ফসল নষ্ট করে দিলেন এক কৃষক। কৃষক-দুর্গতির এই ঘটনা বিহারের সমস্তিপুর জেলার মুকাতপুরে।
আট থেকে দশ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছিলেন বিহারের সমস্তিপুরের ও্ই কৃষক। ফলন ভাল হলেও দাম পাচ্ছিলেন না কিছুই। ফুলকপি বেচতে হচ্ছিল এক টাকায়। অথচ নয়ডার বাজারে সেই ফুলকপি ক্রেতারা কিনছেন ৩৫ টাকায়। এর ফলে কার্যত মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ওই কৃষক। সরকার অবশ্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। কিন্তু কৃষকের কথায় সেও নামমাত্র। মাত্র এক হাজার নববই টাকা পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি এলাকার মানুষদের ক্ষেত থেকে বিনে পয়সায় ফুলকপি নিয়ে যেতেও অনুমতি দিয়েছিলেন ওই কৃষক। শুধু এবারই নয়, আরও একবার চরম লোকসানের মুখে পড়েছিলেন কৃষক। ফলন পিছু নামমাত্র টাকা পাওয়ায় হতাশায়, রাগে, দুঃখে নিজের চাষ করা জমির উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দিলেন ওই কৃষক।
কৃষকের এই দুর্দশার কারণ হিসেবে অনেকেই বিহারে এগ্রিকালচার প্রোডিউস মার্কেটিং কমিটি অ্যাক্ট ২০০৬ কেই দায়ী করছেন। ভারতের মধ্যে বিহার ছিল প্রথম রাজ্য যারা এই আইন বাতিল করে দেয়। এর ফলে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে পারার রাস্তা খুলে যায় ব্যবসায়ী বা বড় বড় মার্কেটিং সংস্থার থেকে।
কৃষকদের আশঙ্কা কেন্দ্র ওই তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে গোটা দেশজুড়ে এমনই পরিস্থিতি হবে। তাঁদের দাবি, কৃষকরা লোকসানের মুখ দেখবেন, অথচ বাজারে সেই সব্জি বিক্রি হবে চড়া দামে। যার ফলে লাভের মুখ দেখবে বড় বড় কৃষি পণ্য বিপণনকারী সংস্থাগুলি।