পটনা: বিহার স্কুল এগজামিনেশন বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান লালকেশ্বর প্রসাদ সিংহ স্বীকার করে নিলেন, অক্ষম ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় ফার্স্ট করানোর জন্য মাথা পিছু ২০ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া এখানে সেখানে গজিয়ে ওঠা ইন্টারমিডিয়েট কলেজগুলিকে স্বীকৃতি দিতে নিতেন কলেজ পিছু ৪ লাখ টাকা। লালকেশ্বর ও তাঁর স্ত্রী প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন অধ্যাপক ঊষা সিংহকে ৩দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিএসইবি প্রধান থাকাকালীন ১০০-র ওপর কলেজকে স্বীকৃতি দেন লালকেশ্বর। এ বছর বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় অক্ষম ছাত্রছাত্রীদের যে প্রথম হতে সাহায্য করে, সেই বাচ্চা রাইয়ের সঙ্গে লালকেশ্বর ও তাঁর স্ত্রীর যোগসাজস ছিল। আপাতত জেলবন্দি এই বাচ্চা রাই বৈশালীর একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিল। সে-ই এই চিটিং র‌্যাকেটের কিংপিন বলে মনে করছে পুলিশ। পছন্দমত ছাত্রছাত্রীদের বোর্ডের পরীক্ষায় ফার্স্ট করাতে সে ২০ লাখ করে ঘুষ দিয়েছিল লালকেশ্বরকে।
বিহারে বোর্ডের পরীক্ষায় এই কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসে ৩০ মে। তথাকথিত দুই ‘প্রথম’ রুবি রাই ও সৌরভ শ্রেষ্ঠকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা নিজের নিজের বিষয়ে মামুলি দু’একটি প্রশ্ন করলে তারা সম্পূর্ণ ভুলভাল উত্তর দেয়। বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হতে প্রশ্ন ওঠে বিহারে লেখাপড়ার মান নিয়ে। তারপরেই এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে শিক্ষা সংক্রান্ত বিরাট চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ।