দ্বারভাঙ্গা: উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহারে গবেষণার কাজে এসে যে এমন হেনস্থার শিকার হতে হবে, তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। ১২জন গবেষককে শুধু যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির সমীক্ষক ভেবে ভুল করা হল তাই নয়, তাঁদের তুলে দেওয়া হল পুলিশের হাতে!


ঘটনাটি বিহারের দ্বারভাঙ্গার জামালপুরের। লখনউ থেকে গবেষণার কাজে এসেছিল ১২জন গবেষকের একটি দল। সেই দলে চারজন মহিলাও ছিলেন। দ্বারভাঙ্গার পুলিশ সুপার বাবু রাম জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন ওই গবেষকেরা। তখনই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, এনআরসি-র জন্য সমীক্ষা চালাচ্ছে ওই দল। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। কিছুক্ষণের জন্য আটকে রাখা হয় ওই দলকে। তারপর জোর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গবেষকদের পরিচয়পত্র দেখার পর পুলিশের তরফেই গ্রামবাসীদের বোঝানো হয় যে, ওঁরা নিছকই গবেষণার কাজে এসেছেন। তবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যে, অতীতেও এরকম ঘটনা ঘটেছে এবং তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে তাঁরা প্রচার চালাবেন। তিনি বলেছেন, ‘গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন করা হচ্ছে সন্দেহজনক কিছু মনে হলে আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন  না। পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। জোর করে আটকে রাখবেন না।’

বিহার জুড়ে এখন সংশোধিত নাগরিক আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও এনপিআর নিয়ে আতঙ্ক। পরিস্থিতি এমনই যে, প্রায়শই কোনও বেসরকারী সংস্থার হয়ে সমীক্ষা চালাতে এসেও রোষের শিকার হতে হচ্ছে অনেককে।