পটনা: বছর দুয়েক আগে বিহারের এক মহিলাকে পণের জন্য তাঁর স্বামী খুন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন স্বামী। কিন্তু নিহত সেই মহিলাকেই খুঁজে পাওয়া গেল মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে। সেখানে তিনি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।

২০১৫-তে মুজফ্ফরপুরের পিঙ্কির সঙ্গে বিয়ে হয় মনোজ শর্মার। বিয়ের কয়েকমাসের মধ্যেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান পিঙ্কি। তাঁর বাবা-মা মনোজের বিরুদ্ধে পণের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, মনোজই তাঁদের মেয়েকে খুন করেছেন।

এর কয়েক সপ্তাহ পরই মজফ্ফরপুরেরই সারাজা থানা এলাকায় এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। পিঙ্কির বাবা-মা দেহটি তাঁদের মেয়ের বলে শনাক্ত করেন। পুলিশ এরপর মনোজকে গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার মামলা রুজু করা হয়।

কয়েক সপ্তাহ আগে মনোজের পরিবারের লোকজনের কাছে তাঁদের পরিচিত একজন ফোন করে জানান যে, তিনি পিঙ্কিকে জব্বলপুরের ক্যান্ট এলাকায় পিঙ্কিকে দেখেছেন। এক ব্যক্তির সঙ্গে পিঙ্কি সেখানে থাকেন। মনোজের পরিবারের লোকজন জব্বলপুর গিয়ে পিঙ্কিকে দেখতে পার। এরপর তাঁরা পুলিশকে তা জানান। আরাইয়া থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর শত্রুঘ্ন শর্মা এ কথা জানিয়েছেন।

বিহার পুলিশ জানিয়েছে, পিঙ্কির সঙ্গে ময়ূর মালিক নামে এক ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল। তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে মনোজের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫-তে মালিক ও পিঙ্কি মুজফ্ফরপুর থেকে পালিয়ে গিয়ে জব্বলপুরে এসে থাকতে শুরু করে। তাঁদের দুজনকে বিহারে আনা হবে।

জব্বলপুর পুলিশের আশঙ্কা, মনোজকে খুনের মামলা ফাঁসানোর ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে।

ক্যান্ট থানার এসএইচও জানিয়েছেন, বিহার পুলিশ প্রথমে কোর্টে প্রমাণ দেবে যে, পিঙ্কি জীবিত। এরপর তাঁরা মনোজকে মুক্ত করার আর্জি জানাবে। খুনের মামলা সাজানোর ষড়যন্ত্র যুক্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হবে।