পটনা:তীব্র বিতর্কের মুখে দায়িত্ব গ্রহণের দেড়ঘন্টার মধ্যেই ইস্তফা বিহারের নীতীশ সরকারের নতুন শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরীর। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র জয়ের পর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেছিলেন নীতীশ। তাঁর সঙ্গে আর যাঁরা শপথ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মেওয়ালালও। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বও গ্রহণ করেন। কিন্তু তারপরই নীতীশের সঙ্গে বৈঠকের পর ইস্তফা দিলেন তিনি।
নীতীশ টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু শক্তি কমে গিয়েছে। আর নয়া ইনিংসের শুরুতে এভাবেই ধাক্কা খেতে হল তাঁকে। দুর্নীতির ঘটনায় অভিযুক্ত বিধায়ককে শিক্ষামন্ত্রী করায় বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। মেওয়ালালের বিরুদ্ধে সহকারী অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী নিয়ো দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মেওয়ালালের বিরুদ্ধে। তাঁকে বিহারের নয়া এনডিএ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী করা হয়েছিল।


মেওয়ালাল মুঙ্গের জেলার তারাপুর বিধানসভা আসন থেকে ভোটে জিতেছেন। বিরোধীরা মেওয়ালালকে মন্ত্রী করার ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব ট্যুইট করে বলেন, 'যেখানে তেজস্বী ভোটে জিতলে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রথম সইয়ে ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেখানে নীতীশ এক প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে একজন দাগী বিধায়ককে অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং তাঁকে মন্ত্রী করেছেন...'
এর আগে মঙ্গলবার আরজেডি নেতাও ওই মন্ত্রীকে নিয়ে ট্যুইট করে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বহু দুর্নীতির মামলায় যুক্ত পলাতককে শিক্ষামন্ত্রী করেছেন..এরপরও মুখ্যমন্ত্রী অপরাধ, দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে জ্ঞান বিতরণ করে যাবেন'।

উল্লেখ্য, ভাগলপুর জেলার সাবৌরের বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর থাকাকালে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের পর ৬৭ বছরের মেওয়ায়লালকে ২০১৭-তে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউ সাসপেন্ড করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি-র রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০১৭-র ফেব্রুয়ারিতে এফআইআর দায়ের হয়েছিল।

তখন মহাজোট মন্ত্রিসভার আমলে বিরোধী আসনে ছিল বিজেপি। তখন তারা এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিল।