নয়াদিল্লি: গুজরাত সরকারকে চার সপ্তাহ সময় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানাতে বলল, বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যে পুলিশকর্তাদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায় বহাল রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও বিভাগীয় পদক্ষেপ আদৌ করা হয়েছে কিনা।

বম্বে হাইকোর্ট গত ৪ মে পুলিশকর্মী ও ডাক্তার সহ সাতজনকে খালাস করার পাশাপাশি বিলকিস ধর্ষণ মামলায় ১২ জনের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায় ও আজীবন কারাবাসের সাজা বহাল রাখে।

২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গার সময় ঘটে যাওয়া ধর্ষণের মামলায় বিলকিসকে ইতিমধ্যে যে ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ হয়েছে, তিনি তা বাড়ানোর দাবি করেছেন। পাশাপাশি দোষী পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।

এদিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বিলকিসকে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোর দাবিতে নতুন করে আবেদন পেশ করার অনুমতি দেয়।

প্রসঙ্গত, ২০০২ এর মার্চে গণধর্ষিতা হন সন্তানসম্ভবা বিলকিস। গোধরার ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনার পরের হিংসার অধ্যায়ে নিজের পরিবারের সাতজনকে হারান তিনি।

বেঞ্চ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২১৮ অনুচ্ছেদ (দায়িত্ব পালন না করা) ও ২০১ অনুচ্ছেদের (নথি বিকৃতি ঘটানো) আওতায় ৫ পুলিশকর্মী ও ২ ডাক্তারকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।

২০০৮ এর ২১ জানুয়ারি ১১ জনকে এই মামলায় দোষী ঘোষণা করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয় বিশেষ আদালত। তাঁরা নিম্ন আদালতের রায় খারিজের দাবিতে বম্বে হাইকোর্টে যান। সিবিআইও হাইকোর্টে আবেদন পেশ করে দোষীদের তিনজনের কঠোরতর সাজার দাবি করে। মামলায় তারাই মূল অপরাধী বলে জানায় সিবিআই।