নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক। রাজস্থান, কেরল, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশের পর এবার তা পৌঁছে গেল রাজধানী দিল্লিতেও। রাজধানীর ময়ূর বিহার থ্রি-তে একসঙ্গে ১০০-র বেশি মরা কাক উদ্ধার হয়। যার পরই এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

শনিবার ভোরবেলা মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে ময়ূর বিহারের এক পার্কে একসঙ্গে ১৭টি কাকের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান চিকিৎসকরা।

দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিডিএ পার্কে ও দ্বারকায় দুটি এবং পশ্চিম দিল্লির হাসতাসালে ১৬টি মৃত কাক উদ্ধার হয়েছে। রাজধানীর একাধিক জায়গাথেকেই উদ্ধার হওয়া মৃত কাকেদের দেহের নমুনা ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিউরিটি অ্যানিম্যাল ডিজিসে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। বেশ কিছু স্যাম্পেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে জলন্ধরের এক পরীক্ষা কেন্দ্রেও।



ইতিমধ্যে হিমাচল প্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, কেরলে যে পাখিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা,  যা পরিচিত বার্ড ফ্লু নামেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে যা নিয়ে জানানো হয়েছে, বার্ড ফ্লু-র কিছু স্ট্রেন বেশ আশঙ্কাজনক। যা মানবদেহে ছড়িয়ে পড়লে মানুষেরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

এখনও পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে ২৩০০-র বেশি পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যু হয়েছে। কাংড়ার পং ড্যাম এলাকায় বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী পাখির মৃত্যুর পর তাদের দেহের স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। যেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয় বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণের বিষয়টি।

কেরলে এখনও পর্যন্ত ১২০০০ হাজারের মতো হাঁসের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের প্রাণীসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কে রাজু। রাজস্থানেও ৫২২টি পাখি মারা গিয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই কাক। সবথেকে বেশি সংখ্যায় কাকের মৃত্যু হয়েছে ঝালওয়ার জেলায়।

এমনিতেই গোটা দেশ এখনও করোনা আতঙ্কের থাবা কাটাতে পারেনি। অতিমারীর থাবা কাটানোর জন্য দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়ার প্রত্যাশায় দিন গুনছেন দেশবাসী। এর মাঝেই আবার নতুন করে বার্ড ফ্লু-র আতঙ্ক কপালে ভাঁজ ফেলছে ওয়াকিবহাল মহলের।