আসলে ওই দিন মহারাষ্ট্রের নাগপুরে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল একটি চিতাবাঘ।
ওই ছাত্রটি জানায়, কিছু নির্মাণের কাজের জন্য সে লোকজন নিয়ে তাদের খালি বাড়িতে এসেছিল। সেই সময়ই চিতাবাঘটিকে সে তাদের বাড়ির পাঁচিলের ভেতরে ঘুরতে দেখে। তারা ভয়ে পিছিয়ে গেলে পাঁচিল টপকে চিতাবাঘটি প্রতিবেশীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে।
প্রথমে তো ওই ব্যক্তি প্রতিবেশী ছাত্রের কথা বিশ্বাসই করতে পারেননি। কিন্তু বাড়ির বাথরুমে উঁকি দিয়ে আঁতকে ওঠেন। দেখেন, সেখানে গুটিসুটি পাকিয়ে বসে রয়েছে বন্যপ্রাণীটি।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর বাথরুমে ছিটকিনি নেই। সাহস সঞ্চয় করে দরজা টেনে ধরে চিত্কার শুরু করেন তিনি। পরে কাঠের তক্তা দিয়ে দরজার পথটি বন্ধ করে দেন।
তাঁর বাড়িতে ছুটে আসেন বন বিভাগের আধিকারি ও পশু চিকিত্কসরা। তার আগেই প্রচুর লোক জমা হয়ে যায় তাঁর বাড়িতে।
ঘুমপাড়ানি ওষুধ দিয়ে চিতাবাঘটিকে ঘুম পাড়িয়ে ধরার চেষ্টা হয়। ১০ ফুট উঁচু ঘুলঘুলি থেকে ঘুমপাড়ানি ওষুধের গুলি ছোঁড়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু চিতাবাঘটি লাফিয়ে উঠে ওই ঘুলঘুলিতে থাবা বসাতে থাকে। এরপর লম্বা একটি লাঠি ব্যবহার করে চিতাবাঘটির শরীরে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।