ভুবনেশ্বর: ওড়িশার বিজেপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অশোক পানিগ্রাহীকে ৪১,৯৩৩ ভোটে হারালেন রাজ্যের শাসক বিজু জনতা দলের (বিজেডি) রীতা সাহু। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিজয়ী প্রার্থী পেয়েছেন ১০২৮৭১টি ভোট, বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৬০৯৩৮। আসনটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। তবে এবার তাদের প্রার্থী প্রণয় সাহু মাত্র ১০২৭৪টি ভোট পেয়ে জামানত খুইয়েছেন।
২০১৪-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৩০০০১ ভোট। অর্থাত তাদের ভোট বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। নোটায় পড়েছে ১৬৮৪টি ভোট।
গত বছরের আগস্টে এই কেন্দ্রের তিনবারের বিজয়ী প্রার্থী কংগ্রেসের সুবল সাহুর মৃত্যুর জন্য সেখানে উপনির্বাচন করতে হয়। তাঁর স্ত্রী রীতা সাহুকেই প্রার্থী করে বিজেডি। আর পানিগ্রাহী বিজেডি ছেড়ে বিজেপির প্রার্থী হন। ভোটের ফলাফলে খুশি বিজেডি সভাপতি তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেছেন, এই ফল রাজ্যের আগামী নির্বাচনগুলির ওপর প্রভাব ফেলবে। 'বিপুল জয়ে'র জন্য তিনি ধন্যবাদ দেন বিজেপুরের জনসাধারণকে। বিজেডিকে আশীর্বাদ করায় তাঁদের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, বলেন তিনি। এও বলেন, ওড়িশা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। গণতন্ত্রে জনগণ কখনই হিংসাকে সমর্থন করে না।
মধ্যপ্রদেশের দুটি কেন্দ্র কোলারাস, মুঙ্গাওলির উপনির্বাচনে সাফল্য কংগ্রেসের। মুঙ্গাওলিতে বিজেপির বৈষ্ণব যাদবকে ৩ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের ব্রিজেন্দ্র সিংহ। ১৩ রাউন্ড গণনা শেষে কোলারসে ৪০৬৬ ভোটে এগিয়ে আছেন কংগ্রেসের মহেন্দ্র সিংহ যাদব।
গণনার শুরু থেকেই দুটিতেই এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের দুটি আসনেই সরাসরি লড়াই হয়েছে দুই প্রধান দলের। দুটি আসনই কংগ্রেসের দখলেই ছিল।
ঘটনাচক্রে দুটি কেন্দ্রই গুনা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গুনার নির্বাচিত সাংসদ হলেন কংগ্রেসের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, যাঁকে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রজেক্ট করেছে রাহুল গাঁধীর দল। দুটি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল তাঁকে আরও চাঙ্গা করবে।