উত্তরপ্রদেশে এসবিএসপি-র চারজন বিধায়ক আছেন। সম্প্রতি রাজ্যসভা নির্বাচনের আগেও বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এসবিএসপি। তারা এই নির্বাচন বয়কট করারও হুঁশিয়ারি দেয়। এবার ফের আদিত্যনাথকে তোপ দেগে এসবিএসপি নেতা ওমপ্রকাশ রাজভড় বলেছেন, ‘সাংসদ ও বিধায়করা কেন যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উপর ক্ষুব্ধ? তাঁরা কেন দিল্লি গিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানাচ্ছেন? কেন বিধায়করা অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন? ১০ তারিখ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ লখনউ এলে আমি তাঁর সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনা করব। তারপর আমার দলের ভবিষ্যৎ পন্থা ঠিক করব।’
বিজেপি-র বিরুদ্ধে দলিত ও তফশিলিদের অবহেলা করার অভিযোগ এনে রাজভড় বলেছেন, ‘বিজেপি সবকা সাথ সবকা বিকাশ স্লোগান দিলেও, সেটা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না। মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে বিজেপি নেতাদের উচ্চবর্ণের আত্মীয়রাই চাকরি পেয়েছেন। এখন দলিত ও তফশিলি জাতির লোকজন কোথায় যাবেন? আমি মুখ খুললেই সবার খারাপ লাগবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সবার কথা শোনা হয়, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেন চার-পাঁচজন।’
রাজভড়ের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠি দাবি করেছেন, ‘রাজভড় খবরের শিরোনামে থাকার জন্যই রাজনৈতিক স্টান্ট দেখাচ্ছেন। তিনি আমলাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছেন। নেতাদের সততা নিয়ে প্রশ্ন নেই। বিজেপি উত্তরপ্রদেশে যথাযথভাবেই জোটধর্ম পালন করছে। বিজেপি সবকা সাথ সবকা বিকাশের নীতিতে বিশ্বাস করে। রাজভড় যে বিষয়গুলি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন, সেগুলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি যদি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেন ভাল হয়।’