নান্দেদ: ক্ষমতায় টিকে থাকতে সমাজে বিভাজনের খেলায় ব্যস্ত বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর দাবি, এই বিভেদের রাজনীতির কারণে মোদী ও বিজেপির প্রতি মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁর অভিযোগ, হরিয়ানায় জাঠদের সঙ্গে অ-জাঠদের লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মহারাষ্ট্র মরাঠি ও অ-মরাঠিদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপি ও আরএসএসের একমাত্র লক্ষ্য ক্ষমতায় টিকে থাকা। দলের এর সমাবেশে রাহুলের দাবি, একমাত্র কংগ্রেসের আদর্শই বিজেপি ও আরএসএসের মোকাবিলা করতে পারে। তিনি দলের সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, একটা-দুটো নির্বাচনে ওরা (বিজেপি ও আরএসএস) লড়াই করবে। এরপর কংগ্রেসই ক্ষমতায় ফিরবে।

নোট বাতিল নিয়েও মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন রাহুল। তাঁর দাবি, সরকারের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেছেন, দেশের চোরেদের কালো টাকা এর মাধ্যমে সাদা হয়ে গিয়েছে।

রাহুল বলেছেন, প্রথমে সরকার বলেছিল, নোট বাতিলের ফলে সন্ত্রাসবাদে লাগাম টানা যাবে। পরে বলল, এতে কালো টাকা জব্দ করা যাবে। কিন্তু একথা সবারই জানা, দেশে কালো টাকার ৯০ শতাংশই স্থাবর সম্পত্তি, সোনায় রয়েছে।

রাহুল আরও বলেছেন, কৃষক, দরিদ্র শ্রমিক, গৃহবধূদের টাকাপয়সার পিছনে মোদী কেন ছুটছেন, তা আমাদের জানা নেই।

রাহুল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকেও একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নোট বাতিলের পর যে ৯৯ শতাংশই ফিরে এসেছে তা জানাতে এক বছর সময় লেগে গেল।

গড় অভ্যন্তরীণ উত্পাদন (জিডিপি) ৪.৫ শতাংশে নেমে যাওয়া নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন রাহুল। তিনি বলেছেন, এ জন্য প্রধানমন্ত্রীই দায়ী।

কংগ্রেস সহ সভাপতির আরও অভিযোগ, মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বললেন বাস্তবে গোয়া ও মণিপুরে বিধায়কদের কিনেছে বিজেপি। গুজরাতেও এই চেষ্টা হয়েছিল।

কর্মসংস্থান নিয়েও মোদীকে বিঁধেছেন রাহুল। তিনি বলেছেন, মোদী প্রতি বছর দুকোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের ধারেকাছেও আসতে পারেনি মোদী সরকার।