এবারের পুরভোটে তারা জিতেছে ১৩টি আসনে। নির্দল প্রার্থীরা পেয়েছেন তিনটি আসন। একটি আসন দখলে রাখতে পেরেছে সিপিএম।
বিজেপির দাবি, রাজেশ কুমার নামে এক বিদ্রোহী প্রার্থী দলকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি জিতেছেন পান্থা ঘাটিতে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শহরের পুরসভায় এই প্রথম বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
হিমাচলে বিধানসভা ভোটেরও দেরি নেই। রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। সেই প্রেক্ষাপটে পুরভোটের এই ফলের তাত্পর্য্য অসীম।
দলের সাফল্যে দফায় দফায় ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন, সিমলা পুরসভা ভোটে বিজেপির এই জয় ঐতিহাসিক। এতে উন্নয়নমুখী রাজনীতির প্রতি মানুষের আস্থা ফের প্রতিফলিত হল। সিমলার মানুষকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। অভিনন্দন দলের কর্মকর্তা, কর্মী, নেতাদেরও, তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য।
সিমলা পুরসভায় আসন সংখ্যা ২০১২-র ২৫ থেকে বেড়ে এবার হয় ৩৪টি। সর্বশেষ নির্বাচনে বিজেপি, কংগ্রেস যথাক্রমে ১২ ও ১০টি আসনে জ
য়ী হয়েছিল। সিপিএম জেতে তিনটি ওয়ার্ডে। ২০১২-য় মেয়র ও ডেপুটি মেয়র পদে সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। দুটি পদেই জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থীরা।
এদিকে কংগ্রেসেরও দাবি, বিকাশ নগর ওয়ার্ডে জয়ী এক প্রার্থী আসলে তাদের সদস্য।
এবার মেয়র পদটি তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। সম্ভবত, বিজেপি নেত্রী কুসুম সারদেতকেই মেয়র পদপ্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়া হতে পারে। তিনি জিতেছেনে আন্নানদালে ওয়ার্ড থেকে।
এবার মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে ১৭টি আসন। বিজেপি পেয়েছে ৮টি, কংগ্রেস ৬টি, নির্দল ও সিপিএম পেয়েছে দুটি ও একটি করে আসন।