লখনউ:  বহু রেস্তোঁরা থেকে উধাও মাংসের পদ! যে লখনউকে অনেকে ‘খাদ্যরসিকদের স্বর্গ’ বলেন, সেই লখনউই রাতারাতি যেন নিরামিশাষী!....

কাবারের সেই ম ম গন্ধ হঠাৎই উধাও!...

মোষের মাংস না মেলায় লখনউয়ের বিখ্যাত টুন্ডে কাবাবের জায়গায় এখন চিকেন কাবাব! মুখ কোঁচকাচ্ছেন অনেকেই! মাংসের স্বাদ কি তাহলে ভুলতে হবে? ইলাহাবাদ-সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক শহরেই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্ন!

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেআইনি কসাইখানা বন্ধের নামে, বৈধ কসাইখানা, এমনকি বৈধ মাছ-মাংস-ডিমের দোকানও বন্ধ করে দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার! অনেক জায়গায় আবার স্থানীয় প্রশাসন লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করছে না বলে অভিযোগ। বেশ কিছু জায়গায় রাতের অন্ধকারে মাংসের দোকানে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। যোগী সরকার অবশ্য এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিজেপির দাবি উড়িয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছে বিরোধীরা। উত্তরপ্রদেশে কসাইখানা বন্ধ বিতর্কের মধ্যেই সর্বত্র চাহিদা বেড়েছে মাছের! দাম বাড়ছে চড়চড় করে!

  • কেজিতে পাঁচশো টাকা দাম বেড়েছে ইলিশের।

  • চিংড়ি ছিল ৬০০ টাকা। হয়েছে ১২০০ টাকা।

  • ২৫% দাম বেড়ে পমফ্রেট বিকোচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। উত্তরপ্রদেশে মাংসের জোগানে ভাঁটা অর্থনীতির পক্ষেও আশঙ্কার।


কারণ সরকারি হিসেব অনুযায়ী,  মোষের মাংস বা বিফ রফতানিতে ভারত বিশ্বে প্রথম।

২০১৫ সালে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বিফ রফতানি হয়েছে।

আর এর প্রায় অর্ধেকই আসে উত্তরপ্রদেশ থেকে।

মাংস, চামড়া ও অন্যান্য পণ্য ধরলে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শিল্প। অন্তত দেড় কোটি মানুষ এর উপর নির্ভরশীল।

যোগী সরকার দাবি করছে, বৈধ কসাইখানাগুলির চিন্তার কিছু নেই। বন্ধ করা হচ্ছে শুধুমাত্র বেআইনি কসাইখানা। কিন্তু, তা মানছেন না মাংস ব্যবসায়ীরা। অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের পথে হেঁটেছে ‘লখনউ চিকেন অ্যান্ড মাটন মান্ডি কমিটি’। এই সপ্তাহেই পালিত হবে নবরত্ন উৎসব। মেনু কী হবে, তা নিয়েই ঘোর চিন্তায় উত্তরপ্রদেশবাসী।