রাঁচি: খাদ্যের অধিকার নিয়ে রাঁচিতে একটি সভার আয়োজন করেছিলেন বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ। সেই সভায় তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন দুই সমাজকর্মী বিবেক গুপ্তা ও অঞ্জু কুমার। এই তিন জনকেই গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ড সরকারের তীব্র সমালোচনা করল সিপিএম।
ট্যুইটে কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর তরফে বলা হয়, “ঝাড়খণ্ডে খাদ্যের অধিকারে সভা করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে সিপিআইএম। সমালোচনার পর তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।” সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও এই ঘটনায় সরব হয়েছেন। ট্যুইট করে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, মানুষের অধিকারের কথা বলেন, তাকে গারদে ভরেছে বিজেপি শাসিত সরকার। ভুলে যান তাদের জুমলা (ভুয়ো প্রতিশ্রুতি), বিজেপি এমনই জনবিরোধী।”
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, “দ্রেজের গ্রেফতারির ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। যারা মানুষের জন্য এবং নিপীড়িতদের জন্য কাজ করছে তাদের উপরই আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। বিজেপির শাসনে ‘স্টেট অব ওয়ার’-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, অনুমতি না নিয়েই সভা করছিলেন জঁ দ্রেজ। নির্বাচনী নিয়ম বিধি লঙ্ঘন করায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জঁ দ্রেজ ছিলেন ইউপি আমলের জাতীয় উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য। বেলজিয়াম বংশোদ্ভূত এই অর্থনীতিবিদ কাজ করেছেন অমর্ত্য সেনের সঙ্গেও। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনায় লিখেছেন বই-ও। ‘হাঙ্গার অ্যান্ড পাবলিক অ্যাকশন’ নামের ওই বই সংশ্লিষ্টমহলে বেশ জনপ্রিয়তাও কুড়িয়েছে। সেন্স অ্যান্ড সলিডারিটি: ঝোলাওয়ালা ইকনমিক্স ফর এভরিওয়ান-বইয়ের লেখকও তিনি। জঁ দ্রেজ দিল্লি স্কুল অব ইকনমিক্স এবং রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত অধ্যাপক।