আগরতলা: আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে আলাদা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরার জোট সরকারের দুই শরিক দল বিজেপি ও আইপিএফটি। এ বিষয়ে আইপিএফটি জানিয়েছে, বিজেপি একতরফাভাবে ত্রিপুরার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নাম ঘোষণা করেছে। ফলে আলাদা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে আইপিএফটি। বিজেপি-র অবশ্য দাবি, বিধানসভা নির্বাচনে জোট হলেও, লোকসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করার কথা বলা হয়নি।


আইপিএফটি-র সহকারী সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল দেববর্মা বলেছেন, ‘পূর্ব ত্রিপুরা (উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত) এবং পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রে প্রস্তুতির জন্য দু’টি কমিটি গঠন করার আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি বিজেপি। রাজ্যের আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ ও বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্যকে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন ও বিজেপি-র অপর এক সাধারণ সম্পাদক প্রতিমা ভৌমিককে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা লোকসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করার বিষয়ে আলোচনায় রাজি ছিলাম। কিন্তু বিজেপি আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দিয়েছে নেতাদের। তাই আমরা এককভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’

এ বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র মৃণালকান্তি দেব বলেছেন, ‘এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-আইপিএফটি জোট হয়েছিল। কিন্তু এমন নয় যে বিজেপি ও আইপিএফটি একসঙ্গে সব নির্বাচনে লড়াই করবে। আমাদের রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা সুনীল দেওধর আগেই ঘোষণা করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে দু’টি আসনেই লড়াই করবে। তবে ত্রিপুরা সরকারের উপর এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে না। মহারাষ্ট্রে আগে জোট থাকলেও, পরবর্তীকালে বিজেপি ও শিবসেনা আলাদাভাবে লড়াই করেছে। তা সত্ত্বেও জোট সরকারের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। আমার মনে হয়, এখানেও একই ব্যাপার হবে।’

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দু’টি আসনেই জয় পেয়েছিল সিপিআইএম। এই দু’টি কেন্দ্রেই আইপিএফটি-র ভাল প্রভাব রয়েছে। ফলে ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াই হলে কোন দল এগিয়ে থাকবে, সেটা বলা কঠিন।