মুম্বই: ৮০ ঘণ্টার জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ, তারপর সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত আস্থা ভোটের নির্দেশ দিলে ইস্তফা। প্রথমে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে অজিত পওয়ার ফিরে যান কাকা শরদ পওয়ারের ছত্রছায়ায়, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফড়ণবীশ জানিয়ে দেন, তিনিও ইস্তফা দিচ্ছেন। আর ৮০ ঘণ্টার এই কুর্সি দখল নিয়েই এক বিজেপি সাংসদ চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন।

এই সাংসদ অনন্ত হেগড়ে, বিজেপির পরিচিত ও বিতর্কিত মুখ। এঁর দাবি, কেন্দ্রের ৪০,০০০ কোটি টাকা বাঁচানোর জন্য ফড়ণবীশ তিনদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হন। ওই টাকার ওপর নাকি শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির কুদৃষ্টি ছিল, তাই দ্রুত সরকার গঠন করে তা ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেয় ফড়ণবীশ নেতৃত্বাধীন সরকার। হেগড়ে বলেছেন, ৮০ ঘণ্টা পর ফড়ণবীশ ইস্তপা দিলেন, এমন নাটকের কী দরকার ছিল? আমরা কি জানতাম না, আমাদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই? এরপরেও ফড়ণবীশ মুখ্যমন্ত্রী হন। তাঁর লক্ষ্য ছিল ওই ৪০,০০০ কোটি টাকা। যদি তা কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনার কাছে পৌঁছত, তার বাজে খরচ হত। হেগড়ে আরও বলেছেন, ওই টাকা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা, উন্নয়নের জন্য তা খরচ করার কথা ছিল। প্রকল্পও তৈরি ছিল আগে থেকে। ফড়ণবীশ মুখ্যমন্ত্রী হয়েই ১৫ ঘণ্টার মধ্যে ৪০,০০০ কোটি টাকা ঠিক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন। কেন্দ্রের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছেন পুরো টাকা।

এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যে কৃষক ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জমি অধিগ্রহণ করে ওই প্রকল্প হচ্ছে, তারা বুলেট ট্রেনের কড়া বিরোধিতা করেছে। উদ্ধব বলেছেন, তাঁর সরকার সাধারণ মানুষের জন্য। তাই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের পুনর্মূল্যায়ণ হবে। কিন্তু ওই প্রকল্প কি অ্যারে কলোনি প্রকল্পের মত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে? না, তা হয়নি।

উদ্ধব বলেছেন, তাঁর সরকারের ওপর ঋণের বোঝা প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা, তবু তাঁরা কৃষকদের ঋণের বোঝা নিঃশর্তভাবে সম্পূর্ণ লাঘব করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অ্যারে কলোনিতে গাছ কাটা বন্ধ করার চেষ্টার অভিযোগে পরিবেশপ্রেমীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে। তবে এ জন্য মুম্বইয়ের কোনও মেট্রো প্রকল্প বন্ধ করা হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।