বিধানসভা নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ৮০ ঘন্টা পর ইস্তফা দেন ফড়নবীশ। হেগড়ে ওই পর্ব নিয়ে মন্তব্যের মাধ্যমে নয়ামাত্রা যোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার গঠন ছিল একটা ‘নাটক’। উন্নয়ণমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ ওই তহবিল যাতে সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এমনটা করা হয়েছিল বলে হেগড়ে মন্তব্য করেছেন।
হেগড়ে বলেছেন, ‘আমরা সবাই জানি, মহারাষ্ট্রে আমাদের নেতা ৮০ ঘন্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু শীঘ্রই ফড়ণবীশ পদত্যাগ করেন। আমাদের এই নাটকটা করতে হয়েছিল কেন? আমরা কি জানতাম না-আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই জানা সত্ত্বেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেন কেন? এখন এই প্রশ্নটা সবাই করছেন।’
শনিবার উত্তর কর্ণাটকের ইয়েল্লাপুরে ভোটের প্রচারে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে হেগড়ে বলেছেন, ‘৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।যদি শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, তাহলে ওই ৪০ হাজার কোটি টাকা উন্নয়ণমূলক কাজে না গিয়ে (অপব্যবহার) অন্যকিছুতে যেতে পারত। এটা পুরোটাই আগে থেকে পরিকল্পনা করা ছিল। (তিন দল সরকার গঠন করছে) জানতে পাওয়ার পর এই নাটক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো ব্যবস্থা করা হয় এবং শপথ গ্রহণ হয়।শপথের ১৫ ঘন্টার মধ্যেই ফড়ণবীশ নিশ্চিত করেন যে, যেখানে যাওয়ার কথা ছিল ওই অর্থ তা সেখানে গেছে এবং ওই অর্থ সুরক্ষিত করেন। টাকার সবই কেন্দ্রকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, কেননা ওই টাকা যদি এখানে রাখা হত তাহলে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী...আপনারা জানেন কী হতে পারতো।’
গত ২৩ নভেম্বর আচমকাই ফড়ণবীশকে শপথবাক্য পাঠ করান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিংহ কোশিয়ারি। এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন এবং রাতারাতি মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার গঠন হয়।
কিন্তু কয়েকদিন পর আস্থা ভোটের আগে ইস্তফা দেন ফড়ণবীশ। তার আগে অজিত পাওয়ার ইস্তফা দেওয়ায় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সুযোগ ফড়ণবীশের সামনে ছিল না।
শেষপর্যন্ত গত ২৮ নভেম্বর শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।