উন্নাও: বিভিন্ন সময়েই নিজের মন্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছেন বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ। ফের তাঁর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। এবার তাঁর দাবি, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর হত্যার পিছনে রয়েছে কংগ্রেসের হাত। সাক্ষী মহারাজের অভিযোগ,  কংগ্রেসই নেতাজিকে খুন করিয়েছিল।


উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন সাক্ষী মহারাজ।

সাক্ষী মহারাজ দাবি করেছেন, সুভাষ চন্দ্র বসুকে অকালেই মৃত্যুর কবলে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। আমার অভিযোগ, কংগ্রেসই সুভাষ চন্দ্র বসুকে হত্যা করিয়েছিল। সুভাষ চন্দ্র বসুর জনপ্রিয়তার কাছে দাঁড়াতে পারতেন না পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। মহাত্মা গাঁধীর থেকেও জনপ্রিয় ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু।



সাক্ষী মহারাজ বলেছেন, সুভাষ চন্দ্র বসুর সেই ক্ষমতা ছিল যিনি ধ্বনি দিয়েছিলেন যে, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি স্বাধীনতা দেব। ইংরেজরা এত সাধাসিধে ছিল না যে, চাইলেন স্বাধীনতা দিয়ে দিত। এই স্বাধীনতার জন্য অসংখ্য মানুষ শহিদ হয়েছেন।

সাক্ষী মহারাজ আরও বলেছেন, রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে।
তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে। লোকসভায় দলের নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, বিজেপি এভাবে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানোর চেষ্টা করছে।  ইতিহাস বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার এটা বিজেপির পরিচিত পরিচিত কৌশল। তিনি বলেছেন, বিজেপির নিজস্ব কোনও রাজনৈতিক আইকন নেই। তাই নেতাজিকে তাদের এত বেশি মাথাব্যথা। বিজেপির এমন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নেই, যাঁকে দেশের মানুষের কাছে আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরা যায়।  তাই বিজেপিকে মহাত্মা গাঁধীর আশ্রয় নিতে হয়, নেতাজি, বল্লভভাই পটেলের আশ্রয় নিতে হয়।

অধীর আরও বলেছেন, যে মহাত্মা গাঁধীকে বিজেপি সামনে রাখতে চায়, সেই মহাত্মা গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে হত্যাকারী বলতে চাইছে না বিজেপি।

২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের ১২৫ তম জন্মদিবস বিজেপি পরাক্রম দিবস  হিসেবে পালন করেছে। এই উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। নেতাজির জন্মদিন উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কলকাতায় এসেছিলেন।  মোদি বলেছিলেন যে, দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এখন থেকে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি পরাক্রম দিবস হিসেবেই পালন করা হবে। মোদি বলেন, নেতাজি ভারতের পরাক্রমের প্রতিমূর্তি ও প্রেরণাও।