আলিগড়: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই পাকিস্তানের জনকের প্রশংসা করায় উত্তরপ্রদেশের শ্রমমন্ত্রী স্বামীপ্রসাদ মৌর্যকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানালেন বিজেপি সাংসদ হরনাথ সিংহ যাদব। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে আপত্তি জানান অপর এক বিজেপি সাংসদ সতীশ গৌতম। এরই মধ্যে জিন্নাকে ‘অবিভক্ত ভারতের মহাপুরুষ’ বলে দাবি করেন মৌর্য। যদিও পরে তিনি দাবি করেন, এই ধরনের কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু তাঁকে আক্রমণ করে হরনাথ ট্যুইট করেন, ‘যে জঘন্য দুষ্কৃতী মহম্মদ আলি জিন্না দেশকে তিন ভাগ করেছিল, তাকে মহান ব্যক্তি বলেছেন মন্ত্রী স্বামীপ্রসাদ মৌর্য। তাঁকে এই মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাঁকে দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি মহেন্দ্র নাথ ও দলীয় নেতা সুনীল বনসলকে ট্যাগ করেন হরনাথ। তিনি আরও একটি ট্যুইটে লেখেন, ‘ভারতের তিন ভাগ করা জিন্নার ছবি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা যেতে পারে। কিন্তু ভারত মাতা কি জয়, বন্দে মাতরম বলা যায় না।’



জিন্নার ছবি নিয়ে বিতর্কে আজ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। হিন্দু যুব বাহিনীর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের প্রথমে আটক করা হলেও, পরে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্ররা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। অন্তত ২০ জন ছাত্র জখম হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৬ জন ছাত্র জখম। আজ সন্ধ্যায় প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোলমালের জেরে সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়। আনসারি দিল্লি ফিরে যান।



এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেছেন, ‘আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্ররা দেশপ্রেমী। তাঁদের দেশাত্মবোধ নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।’