লখনউ: দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধী। তাঁর দাবি, নেহরু দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আত্মত্যাগ করেছিলেন। তিনি নিজে শারীরিক কষ্ট সহ্য করে, পরিবারের সুখের কথা না ভেবে দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন। এখনকার যুবসমাজকে সেটা বুঝতে হবে।

 

উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের সাংসদ বরুণ একটি অনুষ্ঠানে প্রমাতামহের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘লোকে মনে করে নেহরু দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে রাজার মতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন। কিন্তু যেটা জানে না সেটা হল, তিনি সাড়ে ১৫ বছর জেলে কাটিয়েছিলেন। এখন যদি কেউ আমাকে জেলে আটকে রেখে বলে, ১৫ বছর পরে তোমাকে প্রধানমন্ত্রী করে দেব, তাহলে আমি বলব ক্ষমা করো। আমি এটা করতে পারব না।’

 

বরুণ এই অনুষ্টানে বাকস্বাধীনতার পক্ষেও সওয়াল করেছেন। তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, ‘একটি রাজ্যে সবচেয়ে বড় সংবাদপত্র গত এক বছর ধরে কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই প্রকাশিত হয়ে চলেছে। কারণ, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার সেই কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে নারাজ। এই ঘটনা মানা যায় না।’ তাঁর পদবী গাঁধী হওয়ার কারণেই রাজনীতিতে উত্থান হয়েছে বলে দাবি করেছেন বরুণ। তাঁর মতে, পদবী অন্য কিছু হলে তাঁকেও দর্শকাসনে বসে থাকতে হত।

 

রাজনীতিতে নতুন মুখের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন বরুণ।