হায়দরাবাদ: পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরীর দাবি, বিজেপি মা-ছেলে বা বাবা-ছেলের পার্টির মতো পরিবারকেন্দ্রিক দল নয়, আমজনতার পার্টি যেখানে তাঁর মতো সামান্য একজন কর্মীও সভাপতি হতে পারেন, একজন চা-বিক্রেতা দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
তিনি বলেছেন, তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসিদের বরাদ্দ সংরক্ষণ কাটছাঁট না করেই সাধারণ ক্যাটেগরির আর্থিক দুর্বলদের জন্য ১০ শতাংশ চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সংরক্ষণের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এই পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্রের সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দল মা-ছেলে, বাবা-ছেলের মানে পরিবারের দল নয়। আমি ছিলাম সামান্য এক কর্মী, পোস্টার মারতাম। আমার মা-ও বিধায়ক ছিলেন না, বাবাও কোনও এমপি ছিলেন না। দলে পদের আশায় তিনি দিল্লি গিয়ে তদ্বির করেননি বলেও দাবি করেন গডকরী। বলেন, এত কিছু সত্ত্বেও কিন্তু আমার মতো তৃণমূল স্তরের এক কর্মী বিজেপি সভাপতি হয়েছে, গরিব ঘরের চা বেচা ছেলে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছে। বিজেপি সাধারণ মানুষের দল। আমরা কখনও জাতপাত, ধর্ম, ভাষা দিয়ে বিচার করি না। গরিব, বঞ্চিত, বিপন্ন মানুষের সেবা করি। ওদের জীবন বদলের লক্ষ্য নিয়েছি। তাই সেইসব গরিব মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ হয়েছে, যারা কোনও সুবিধাই পায় না।
বিজেপি নেতারা প্রায়ই পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির নিন্দা করতে গিয়ে বিশেষত কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ওটা মা-ছেলের দল!
কংগ্রেস সরকারের গরিবি হটাও স্লোগান ও সেই লক্ষ্যে ঘোষিত কর্মসূচিতে গরিবি ঘোচেনি, গরিব আরও গরিব হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপির এই প্রথম সারির নেতা। বলেন, আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা ঠিক করলাম, উন্নয়ন, সমৃদ্ধিই হবে ২১ শতকের রাজনীতির অভিমুখ। আমরা রাস্তা বানিয়েছি, কৃষিজমিতে জলের ব্যবস্থা করেছি, বেকারের কাজের বন্দোবস্ত করেছি, দারিদ্র্য দূর করার চেষ্টা করছি। আমাদের সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সবার সামনে রয়েছে। মোদি সরকার গত ৫ বছরে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা, দুই রাজ্যকেই যাবতীয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছে, যা গত ৫০ বছরে আর কোনও সরকার করেনি।
বিজেপি মা-ছেলে বা বাবা-ছেলের পার্টি নয়, আমজনতার দল, কটাক্ষ গডকরীর
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
06 Feb 2019 07:35 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -