নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। মেহবুবা মুফতির জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিল বিজেপি। ওই রাজ্যে মেহবুবা সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেখানে জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন।

সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের এই চরম পদক্ষেপ ঘোষণা করেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। তিনি বলেন, বিজেপির পক্ষে জম্মু ও কাশ্মীরে জোট সরকারে থেকে যাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

রমজানে জঙ্গি দমন অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলার বিচার সহ নানা ইস্যুতে দু দলের মধ্যে মতভেদ তীব্র হচ্ছিল।

বিজেপি রাজ্যে রাজ্যপালের শাসনের পক্ষপাতী বলে জানান তিনি। পিডিপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, যে দলটি রাজ্যে সরকারে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না।

সাংবাদিক বৈঠকে রাম মাধব বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটা মাথায় রেখে ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের অভিমত, ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়াই শ্রেয়।

মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি শীঘ্রই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন পিডিপি-র মন্ত্রী নঈম আখতার।

ইস্তফা দিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মেহবুবা বলেছেন, আমরা সবসময়ই বলেছি, গায়ের জোর দেখানো নিরাপত্তা নীতি জম্মু ও কাশ্মীরে চলবে না, সমন্বয়ই আসল কথা। আলোচনা, সমন্বয় ও বোঝাপড়ার প্রয়াস অব্যাহত রাখব। স্রেফ ক্ষমতা দখল বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর উদ্দেশ্য ছিল না। মেহবুবা জানান, রাজ্যপালকে বলেছি, আর কোনও দলের সঙ্গে জোট করছি না।

৮৭ সদস্যের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় পিডিপি ও বিজেপির বিধায়ক যথাক্রমে ২৮ ও ২৫ । বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর আঁতাত হয়েছিল দু দলের। কংগ্রেসের শক্তি ১২। ফারুক ও ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্সের এমএলএ সংখ্যা ১৫, অন্যন্য ৭।