নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ বিচারক বি এইচ লোয়ার মৃত্যুর তদন্তের দাবি নাকচ করে দেওয়ার পর রাহুল গাঁধী, কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির। কেন্দ্রের শাসক দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র লোয়ার মৃত্যুতে সংশয় প্রকাশ করে তদন্ত চেয়ে পেশ করা পিটিশনের পিছনে রাহুল গাঁধীর 'অদৃশ্য হাত' দেখতে পাচ্ছেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের চরিত্র হনন করতে কংগ্রেস সভাপতি বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্ট আজ বলেছে, বিশেষ সিবিআই বিচারক লোয়ার স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে, তদন্ত চেয়ে দায়ের করা পিটিশনগুলি বিচার প্রদানে বাধাদান, তার বদনামের মারাত্মক প্রয়াস। লোয়ার মৃত্যু সংক্রান্ত জনস্বার্থ পিটিশনগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও লঘু বলেও আখ্যা দেয়।

প্রসঙ্গত, বিচারক লোয়া হাইপ্রোফাইল সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলার শুনানি করছিলেন, যাতে অমিত শাহ অভিযুক্ত ছিলেন, তবে পরে অব্যাহতি পান।
সাংবাদিক সম্মেলনে লোয়ার মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে দেওয়া জনস্বার্থ পিটিশনগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থবাহী আখ্যা দিয়ে এর পিছনে কংগ্রেস, রাহুল গাঁধী জড়িত বলে দাবি করেন সম্বিত।

কংগ্রেস তদন্ত চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিল, রাহুল গাঁধী এই দাবিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অমিত শাহ, বিচার ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে টার্গেট করার চক্রান্ত করায় ওনার 'লজ্জা'য় 'ক্ষমা চাওয়া' উচিত। কংগ্রেস নিজেদের শাসক পরিবার ক্ষমতা হারানোর পর সব ধরনের চক্রান্ত করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে বিচার ব্যবস্থাকে কাজে লাগানোর প্রয়াস ভারতীয় রাজনীতিকে 'নতুন করে নীচে নামিয়ে দিল'। এর পিছনে অদৃশ্য হাত আছে রাহুল গাঁধী, কংগ্রেস।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভির দাবি, কংগ্রেস বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও তাঁদের দলকে কালিমালিপ্ত করার যে চক্রান্ত করেছিল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা ভেস্তে গিয়েছে। এই 'পাপে'র জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত রাহুল গাঁধী, সনিয়া গাঁধীর। এই রায় কংগ্রেস ও তাদের 'ফ্রিল্যান্স বন্ধুদের' অপরাধমূলক চক্রান্ত উন্মোচিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ক্ষমতায় থাকার সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের নেতৃত্ব ও বিশ্বাসযোগ্যতা খর্ব করতে না পেরে এখন বিরোধী শিবিরে থেকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে অপদস্থ করতে চাইছে কংগ্রেস।

গত বছরের নভেম্বর লোয়ার মৃত্যু নিয়ে হইচই শুরু হয় মিডিয়ায় তাঁর বোনকে উদ্ধৃত করে বেরনো মন্তব্যের পর। লোয়ার বোন দাদার মৃত্যুর প্রেক্ষাপট, পরিস্থিতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তার সঙ্গে তিনি যে সোহরাবুদ্দিন মামলার শুনানি করছিলেন, তার যোগ থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।