কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিযুস গোয়েল জানিয়েছেন, বীরেন সিংহ পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। গোয়েল বিজেপির পক্ষে ছোট দলগুলির সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেছেন। দলীয় ২১ বিধায়ক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) সভাপতি, ওই দলের ৪ বিধায়ক, এক কংগ্রেস বিধায়ক, একমাত্র এলজেপি ও টিএমসি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি নেতারা হেপাতুল্লাহর সঙ্গে দেখা করে সরকার গডার দাবি পেশ করেন। তাঁদের দাবি, ৬০ সদস্যের বিধানসভায় ৩২ জনের সমর্থন পেয়েছেন তাঁরা। নাগা পিপলস ফ্রন্টের (এনপিএফ) সভাপতির সমর্থনের চিঠিও পেশ করেন বিজেপি নেতারা।
রাজভবন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিংহ গতকাল রাতে উপমুখ্যমন্ত্রী গাইখামগাম,প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি টি এন হাওকিপকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলে তাঁকে অবিলম্বে ইস্তফা দিতে বলেন রাজ্যপাল, যাতে সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। রীতি অনুসারে, ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত নতুন সরকার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। সূত্রের দাবি, ২৮ জন কংগ্রেস বিধায়কের তালিকা পেশ করে সরকার গড়ার দাবি জানান ইবোবি। চার এনপিপি এমএলএ-র সমর্থনও তাঁর পক্ষে আছে বলে জানান। কিন্তু সাধারণ একটি চিরকুটে ওই চারজনের নাম দেখে নাজমা এনপিপি সভাপতি ও ওই বিধায়কদের নিয়ে আসতে বলেন। রাজ্যপালের বক্তব্য, দাবি, পাল্টা দাবি খতিয়ে দেখে নেওয়া তাঁর কর্তব্য। তিনি ওই বিধায়কদের সঙ্গে কথা না বলে এক টুকরো কাগজকে কখনই ‘সমর্থনপত্র’ হিসাবে গ্রাহ্য করবেন না।
এদিন নাজমা জানান, এখনও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাপত্র পাননি। এর মধ্যেই উপমুখ্যমন্ত্রী গাইখামগাম জানিয়ে দিয়েছেন, ২৮টি আসনে জিতে একক বৃহত্তম দল হয়েছে কংগ্রেস। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী সবচেয়ে বড় দলকে সবার আগে সরকার গঠনের ডাক ও বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।
এর আগে ইবোবি জানিয়েছিলেন, নয়া সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য তিনি আগামীকালের মধ্যে পদত্যাগ করবেন। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাই তাঁদেরই সরকার গঠনের সুযোগ প্রথমে দিতে হবে। ইবোবি বলেছেন, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দিতে তৈরি তিনি এবং তাঁর প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
কিন্তু এদিনই ইবোবি পদত্যাগ করলেন।